পাতা:মায়া-কানন.pdf/১১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মায়াকানন । So Y ইন্দুমতি ! তুই কি আমায় কাদালি ? তা এ সব কথা তোর অামায় বলা বাহুল্য, আমার রূপের আলোকে তোর পিতার গৃহ উজ্জ্বল হয় না বটে,—কিন্তু আমারও মানবকুলে জন্ম, এক সময়ে আমিও পিতামাতার স্নেহের পাত্রী ছিলাম। পিতৃসেবা যে কাকে বলে, তা আমি বিস্মৃত হই নি । ইন্দু।–দেবি! আপনার কথা শুনে আমার চঞ্চল প্রাণ আবার শান্ত হলো। এখন যা আমার মনের ইচ্ছ, তা আমি স্বচ্ছন্দে পরিপূর্ণ করতে পারবো । সুন ।—দেবি ! আমারও একটা প্রার্থনা ও শ্রীচরণে আছে —আমরা যুবতী রমণী, সহজেই চিতচঞ্চল, কত যে অপরাধ আপনার চরণে করেছি, তার সংখ্যা নাই, সে সকল মার্জনা কোরবেন, তার যদি কখন আপনার মনে পড়ে, তখন যত দোষ করেছি, তা বিস্মৃত হয়ে যদি কোন গুণের কৰ্ম্ম করে থাকি, তাই স্মরণ করবেন। ভগবতি ! এ দাসীর এক মাত্র গুণ, আমি প্রিয় সখীর নিমিত্তে প্রাণ পৰ্য্যন্ত দিতে প্রস্তুত আছি । আরু —বও সে ! তা আমি বিশেষরূপ জানি । (ইন্দুমতীর প্রতি) বৎসে! তুমি কেন এত রোদন কোরচ? তুমি এত বিমনা হলে কেন ? এরূপ ঘটনা কি এ পৃথিবীতে ঘটে না ? না ঘটবে না ?—তুমি শান্ত হও । আর দেখ, এরূপ মনের চঞ্চলত অপর ব্যক্তির সম্মুখে প্রকাশ করো না ।