পাতা:মায়া-কানন.pdf/১১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> ob" মায়াকানন । সখি ! যখন তোর মহারাজের সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে, তখন তাকে এই কথাটী বলিস যে, অভাগিনী ইন্দুমতী আপনার শ্ৰীচরণে বিদায় হলো ! যদি পুনর্জন্মে ভাগ্যের পরিবর্তন হয়, তবে সাক্ষাৎ হবে। নতুবা, চিরকালের জন্যে স্বপ্ন ভঙ্গ হলো ! অার দেখ, মহারাজকে আরো বলিস, গান্ধারের রাজকন্যা, বিনিময়ের সামগ্রী নয় । ( নেপথ্যে নিকটে রণ-বাদ্য ) স্থন —এই যে মহারাজ এলেন বলে । ইন্দু —(আকাশে দৃষ্টি নিক্ষেপ পূর্বক করযোড় করিয়া) হে বিশ্বপিতা ! যে অমূল্য রত্নস্বরূপ জীবন এ দাসীকে প্রদান করেছিলেন, তা এর জ্ঞাতসারে এখনও কোন পাপে কলুষিত হয় নাই । তবে যে আপনার সম্মুখে অকালে যাত্রা করছি, এ দোষ, হে করুণাময় ! মার্জন করবেন । এত দুঃখ আর, সয় না ! (বস্ত্রমধ্য হইতে ছুরিকা লইয়। আত্মঘাত ও ভূতলে পতন) সুন ।—এ কি ! এ কি ! প্রিয়সখি ! তোমার মনে কি এই ছিল ? (রোদন করিতে করিতে মস্তক ক্রোড়ে লইয়া) হে বিধাতা ! কোন দেবতা আকাশের এই উজ্জ্বল জ্যোতিৰ্ম্ময় নক্ষত্রটকে এরূপে ভূতলে পাতিত কোরলেন ? (আকাশে মৃদু যন্ত্রধ্বনি ও পাষাণময়ী মূর্তির ভূতলে পতন) এ আবার কি ! প্রিয়সখি ! প্রিয়সখি! তুমি কি যথার্থই গেলে ? সখি ! তুমি এত শীঘ্র আমাদের কেমন কোরে ভুললে ? তোমার বৃদ্ধ পিতার সেবা তুমি ভিন্ন আর কে