পাতা:মায়া-কানন.pdf/১২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> >8 মায়াকানন । রাজকুলের এতদিনে মূলোচ্ছেদ হলো ? ভুবনমোহিনী ইন্দিরা ! তোমার শাপান্তে কি তোমার পিতৃকুলের জলপিণ্ডের লোপ হলো । হায় ! রাজলক্ষনী তার মাতঃ বসুন্ধরা কি এতদিনে সহায় হীন৷ দীনার ন্যায়, অপর সৌভাগ্যশালী পুরুষের আশ্রয় গ্রহণ কল্লেন। রতিদেবি ! তুমি কি কুললক্ষী অপহরণ মানসে নৃপনন্দিনীকে শাপ প্রদান করেছিলে ? মন্ত্রী –( ঋষ্যশৃঙ্গের প্রতি কৃতাঞ্জলিপুটে ) ভগবন ! এই প্রত্যক্ষ পরিদৃশ্যমান শোচনীয় ব্যাপার অবলোকন করে আমার বুদ্ধি ভ্রংশ হয়েচে, আবার আপনার মুখে ইন্দির। দেবীর নাম শ্রবণে আরও বিস্ময়াবিষ্ট হলেম ; আপনি ত্রিকালজ্ঞ, এই ঘটনাবলীর আদ্যোপান্ত বর্ণনা করে আমাকে চরিতার্থ করুন । ঋষ্য —মন্ত্ৰি ! এই যে সম্মুখস্থ প্রস্তরময়ী মূর্তি শতধা বিদীর্ণ দেখচ, (সকলে অবলোকন করিয়া বিস্ময় প্রকাশ) উহ, এই প্রাচীন রাজবংশের পুরস্ত্রীর শাপাবস্থা, অদ্য র্তার শাপ অন্ত হলো । মন্ত্রী –দেব ! আপনার বাক্য শ্রবণে আমরা চমৎকৃত হয়েছি। অতএব প্রসন্ন হয়ে সবিস্তরে এই অদ্ভুত ব্যাপার কীৰ্ত্তন করে আমাদের সংশয় চ্ছেদ করুন । ঋষ্য —মন্ত্রি । পূৰ্ব্বকালে এই মহদুবংশে অসমঞ্জ নামে ভুবন বিখ্যাত এক নরপতি ছিলেন। তাহার অলোকসামান্য সৰ্ব্বগুণালঙ্কত রূপবতী এক কন্যা ছিল, তাহার