পাতা:মায়া-কানন.pdf/৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মায়াকানন । సి রাজা –( মস্তকে করাঘাত করিয়া ) কি সৰ্ব্বনাশ ! এত দিনের পর এ মহদ্বংশ কি সত্যই বিলুপ্ত হলো ? মন্ত্রী –(সত্রাসে ) মহারাজ, এরূপ আশঙ্কার কারণ কি ? রাজা –মন্ত্রি! তুমি কি জানো না, এইরূপ এক জনশ্রীতি আছে যে, এই বংশের কোন রাজা বা রাজকুমার ঐ বনাধিষ্ঠাত্রী পাষাণময়ী দেবীকে পুষ্পাঞ্জলি দিয়ে পূজা করলে, অদৃষ্টপূর্ব রূপ-গুণশালিনী কোন রমণীকে দেখতে পায় সত্য, কিন্তু অতি শীঘ্রই তাকে সেই অভাগিনীর সহিত শমন-গৃহে আতিথ্য স্বীকার কর্তে হয়! আর তার সমুদয় বাসনা চিরদিনের জন্য শুষ্ক হয়ে যায় ! হায় ! হায় ! অজয় কেন ঐ মায়া-কাননে প্রবেশ করেছিল –হা পুত্ৰ ! বিধাতা তোর ভাগ্যে কি এই লিখেছিলেন ! ( দীর্ঘনিশ্বাস পরিত্যাগ ) কিন্তু দেখ মন্ত্ৰি ! এ রোগের যে নিতান্তই ঔষধ নাই, তা নয় । এখনো যদি অজয়কে এই অসৎ সংকল্প হতে নিবৃত্ত করা যেতে পারে, তা হলে রক্ষণ আছে। দেখ মা শশিকল ! তোমার দাদা যাতে এ বাসন পরিত্যাগ করে, তুমি মা প্রাণপণে তারই চেষ্টা দেখ। ( নেপথ্যে পুরুষোক্তি বিরছ গীত । ) ঐ মা তোমার দাদা ! আহা ! কি দুঃখের বিষয়! তা আমি আর মন্ত্রী গুপ্তভাবে থাকি, তুমি গিয়ে তোমার দাদার সঙ্গে সাক্ষাৎ কর। আর তারে এই প্রাণ-সংহারক, বংশ-নাশক সংকল্প হতে নিবৃত্ত করবার জন্যে সাধ্য