পাতা:মায়া-কানন.pdf/৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२२ - সায়ীকানন । মনোমোহিনীকে দেখতে পেলেন। তিনি নরনারী কি সুরসুন্দরী, তা পরমেশ্বরই জানেন । সকলে –(সবিস্ময়ে ) তার পর মহাশয় ? প্র-না !—তাকে দেখে মহারাজ একেবারে মন্ত্ৰমুগ্ধপ্রায় এবং তদ্‌গদ হৃদয় হয়ে, দেবীর সম্মুখে এই প্রতিজ্ঞ করলেন যে, সেই সুন্দরী ব্যতীত অন্য কোন স্ত্রীকে কখন পত্নীত্বে গ্রহণ কোরবেন না। অামার ভয় হচ্ছে যে, পঞ্চালাধিপতির দূতকে ভগ্নমনোরথে ফিরে যেতে হবে । মহারাজ এখন স্বাধীন ; কর্তৃপক্ষ কেহই নাই ; এখন তার স্বেচ্ছাচারী মনকে কে ফেরাতে পারে ? সকলে –ই, এ হলে তো বিলক্ষণই বাধা বটে ! তা যা হোক, মহাশয় ! মায়া-কানন কি ? প্র-না।—আপনাদের জন্ম এই সিন্ধুদেশে ; শৈশবাবধি এখানেই বাস করছেন ; তা আপনারা মায়া-কাননের নাম শুনেন নাই ? এ কি আশ্চৰ্য্য ! সে যা হোক, পঞ্চালাধিপতির প্রস্তাবে অসম্মত হওয়া নিতান্ত অশ্রেয় কাৰ্য্য । এঁরা অতীব প্রাচীন বংশীয় রাজা । তৃ-না।—(সগর্বে ) মহাশয় আমাদের এ রাজবংশকে তবে কি হীনতর জ্ঞান করছেন ? পঞ্চালাধিপতির পূর্ব পুরুষ পাণ্ডবদের শ্বশুর ছিলেন বটে ; আর জামাতৃহিতৈষণার বশম্বদ হয়ে, স্বীয় তনয় যুগলের সহিত কুরুক্ষেত্রে ভীষণ রণমুখে আপনাকে উপহারী করেছিলেন বটে ; কিন্তু, আপনি কি জানেন না যে, আমাদের এই রাজাধিরাজের