পাতা:মায়া-কানন.pdf/৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

之8 মায়াকানন । লোভে নরাধম পুত্র, পিতৃহত্যারূপ মহাপাপেও প্রবৃত্ত হচ্ছে । কিন্তু আমার সামান্য জ্ঞানে, এ সৌভাগ্য প্রার্থনীয় নয় ; আদ্যকার এ দিন আমার জ্ঞানে অশুভ দিন । কেন না, যে ইন্দ্রতুল্য পরাক্রমশালী রাজেন্দ্র এক দিন স্বকীয় তেজঃপ্রভাবে এই সিংহাসন সমলস্কৃত করেছিলেন,—যে উন্নত শিরোদেশে এক দিন এই মুকুট শোভা বিস্তার করেছিল, সেই মহাপুরুষ আজ কোথায় ? সে উচ্চ শির এখন কোথায় ? হায় ! মাদৃশ খদ্যোত আজ কি নিশানাথের উচ্চাসন অধিকার করতে এসেছে ! যা হোক, আমার ন্যায় সামান্য ব্যক্তি যে, এ দুৰ্ব্বহ ভার বহন করতে সাহসী হয়েছে, সে কেবল আপনাদের ভরসায় । সকলে –(হস্ত উত্তোলন পূর্বক সাহলাদে) মহারাজের জয় হউক ! প্র-না –( দ্বিতীয় নাগরিকের প্রতি জনান্তিকে ) মহাশয় । দেখলেন, আমাদের মহারাজের কি স্থলীলতা ! কি অমায়িকতা ! কি মিষ্টভাষিতা ! যৌবনারম্ভে র্যার ঈদৃশ উচ্চপদ প্রাপ্ত হন, তার প্রায়ই গৌরবে ফেটে পড়েন । তা দেখুন সাণ্ডিল্য মহাশয় ! এ রাজার রাজ্যে প্রজার যে কত মত স্থখলাভ হবে, তা এখন বর্ণনা করে শেষ করা যায় না । দ্বি-না –(জনাস্তিকে) পরমেশ্বর তাই করুন ! মহাশয় । রক্তের বড় গুণ, প্রাচীন রক্ত অমৃতধারাবৎ । অমর করে না বটে, কিন্তু হৃদয় মধুময় করে।