পাতা:মায়া-কানন.pdf/৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(! R মায়াকানন । মন্ত্রী –রাজনন্দিনি ! আমার বিবেচনায় পঞ্চালপতির দুহিতা,—যদিও তিনি গান্ধার-রাজতনয়া ইন্দুমতীর সদৃশ স্বরূপ। নন, তবুও সৰ্ব্বথা মহারাজের উপযুক্ত। কেন না, যিনি এখন গান্ধীর দেশের রাজসিংহাসনে আসীন হয়েছেন, তিনি ধৰ্ম্মের সোপান দিয়ে সে সিংহাসনে আরোহণ করেন নাই ! সুতরাং অনেক রাজা এখনও তার প্রভুত্ব স্বীকার করেন নাই। অনেক প্রজা তাকে আন্তরিক শ্রদ্ধা কত্তে অস্বীকৃত। অতএব, গান্ধার রাজ্য এক প্রকার লণ্ডভণ্ড । তার সে দেশের ঐ বর্তমান রাজা যদিও অতি শীঘ্র তার ঐ গুরু পাপের দণ্ডস্বরূপ সিংহাসনচ্যুত হবেন, এরূপ মনে করা যায়, কিন্তু তারই বা নিশ্চয়তা কি ? কেন না, চপলা লক্ষী, রূপ, গুণ, কুল, শীল কিছুই দেখেন না। আর যদি বা সে পাপিষ্ঠ রাজার অধঃপাত হয়, আর বৃদ্ধ গান্ধার-রাজ পুনরায় নির্বিঘ্নে সিংহাসন প্রাপ্ত হন ; তথাপি, যে চঞ্চল, গুণবানকে তাপবিত্র জ্ঞানে স্পর্শ করে না, সাধুজনকে সামান্য জ্ঞানে তার দিকে দৃকপাত করে না, মহদ্বংশসস্তৃত জনকে সর্প জ্ঞানে লম্ফ দিয়া উল্লঙ্ঘন করে, শূরসভমকে কণ্টকতুল্য পরিহার করে, আর বিনীত ব্যক্তিকে পাপিষ্ঠ জ্ঞানে তার দিকে চায় না, সেই পাপ-লক্ষী যে, গান্ধীর রাজসংসারে চিরনিবাসিনী হবে, তারই বা প্রত্যাশা কি ? কিন্তু পঞ্চালাধিপতির এখন তাদৃশ দশা নয়, তার অবস্থবিষয়ে সম্প্রতি এ সকল আশঙ্কা কিছুই নাই। র্তার