পাতা:মায়া-পুরী - রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী.pdf/২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ *సె j ফলে উন্নত জীব বাহ জগংকে জানে না ; সে জানে কেবল রূপ রস গন্ধ শব্দ স্পর্শকে । এই রূপ রস গন্ধ শব্দ স্পর্শের পরম্পরাই তাহার নিকট বাহ জগৎ । কোন রূপ, কোন রস, কোন গন্ধ, কোন শব্দ, কোন স্পর্শ জীবের সুখপ্রদ—তাহাই তাহার উপাদেয়, তাহাই গ্রহণের জন্য সে ব্যাকুল ; ষাহা দুঃখ প্রদ, তাহাই তাহার হেয় ; তাহ বর্জন করিতে সে ব্যস্ত । সে আর কিছু দেখে না । কোন অনুভবটা সুখ দেয়, কোনটা দুঃখ দেয়, তাহাই দেখে ও তদনুসারে যাহা সুখজনক, তাহা গ্ৰহণ করে ও বাহ! দুঃখজনক, তাহা বর্জন করে । সৌভাগ্যক্রমে প্রাকৃতিক নিৰ্ব্বাচনের ফলে এরূপ দাড়াইয়া গিয়াছে, যাহা জীবনরক্ষার অনুকুল, তা হাই যোটের উপর আরাম দেয়, যাক মোটের উপর প্রতিকুল, তাহাই দুঃখ দেয় । মোটের উপর বলিলাম, কেন না, প্রাকৃতিক নিৰ্ব্বাচনের ফল কোথাও সম্পূর্ণতা প্রাপ্ত হয় নাই ; সৰ্ব্বত্রই খটকা আছে ও অসম্পূর্ণতা আছে। অসম্পূর্ণতা আছে বলিয়াই পতঙ্গ বহ্নিমুখে বিবিক্ষু হয় । অসম্পূর্ণত আছে বলিয়াই গাজা গুলি ও মদের দোকান চলিতেছে । জীবনসমরে প্রতিকূল হইলে ও মানুষের ঐ সকল দ্রব্যের প্রতি নেশা আছে —উহ্য একরকমের আরাম দেয় ও ভ্রমক্রমে উপাদেয় বলিয়া গৃহীত হয় । মানুষ-পতঙ্গ দেখিয়া শুনিয়া ও সেই আরামের লোভে ঐ সকল বহির মুখে প্রবেশ করিতে যায় । এই অসম্পূর্ণতা সত্ত্বেও মোটের উপর যা জীবন-স্বন্দ্বে অনুকুল, তাছাই সুখজনক বলিয়া উপাদেয়, ও বাঙ্গ প্রতিকুল, তাহ দুঃখজনক বলির হেয় । এই রূপ-রসাদির জ্ঞান এবং তৎসহিত সুখদুঃখের অনুভবের আবির্ভাব, উচ্চতর জীবকে জীবন-সমরে আশ্চৰ্য্যভাবে সমর্থ