পাতা:মায়া-পুরী - রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী.pdf/২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| < * J করিয়াছে । আগুনে হাত দেওয়া জীবনের পক্ষে অনুকুল নহে ; আমরা আগুন হইতে হাত সরাইয়া লই ; আগুনের ভয়ে নহে, আগুন যে বেদনা দেয় তা চারই ভয়ে। এইরূপ সৰ্ব্বত্র । যাহা দুঃখজনক, আমরা তৎক্ষণাৎ তাহা হইতে দূরে যাই ; যাহা সুখজনক, তাহাকে টানিয়া লই । পায়সান্ন দেখিলেই আমাদের লালা নিঃসরণ হয়, আর কটু ও তিক্তরস হইতে আমরা রসন সংবরণ করি । এইরূপে আমরা জীবনযাত্রা নিৰ্ব্বাহ করি । সময়ে সময়ে পতঙ্গ-বৃত্তির জন্য ঠকিতে হয় বটে। কিন্তু মোটের উপর জীবন-যাত্রার প্রণালী এই যে, মুখকে অন্বেষণ করিতে হইবে ও দুঃখকে পরিহার করিতে হইবে । এই শিক্ষা আমরা প্রকৃতিদেবীর পাঠশালায় লাভ করিয়াছি । যাহাদের এই প্রবৃত্তি নাই, যাহারা লঙ্কা আর নিমের পাতা পেট ভরিয়া থায়, আর লুচিমণ্ডায় সঙ্কোচ বোধ করে, প্রকৃতিদেবী তাহাদের গলা টিপিয়া মারিয়া ফেলেন, তাহীদের ভিটা পৰ্য্যন্ত উচ্ছিন্ন হয় ; তাহাদের বংশে বাতি দিতে কেহ থাকে না । কাজেই যাহাদের সুখলাভের ও দুঃখ-পরিহারের প্রবৃত্তি আছে, তাহারাই প্রকৃতির পাঠশাল হইতে পাস করিয়া বাহিরে আসিয়াছে। লক্ষ লক্ষ বৎসর ধরিয়া লক্ষ পুরুষের গলা-টেপার পর জীবের এই অবস্থা দাড়াইয়াছে। মাষ্টার মহাশয় আমাদের কল্যাণের জন্য বেত মারেন, তাছাতে আমাদের ক্ষোভ হয় ; কিন্তু এই নিষ্ঠুর লেভী মাষ্টার যে, মন্দ ছেলেদের একবারে গলা টিপিয়া দেন, তজ্জন্ত थाभद्रा क्रूक श्हे ना । জীবন-রক্ষার জন্য এই প্রবৃত্তিগুলার এত প্রয়োজন যে, প্রকৃতিদেবী সেগুলার সম্বন্ধে আমাদের ইচ্ছা অনিচ্ছার দিকে একবারেই তাকান নাই । তাছার নিষ্ঠুর আইনের প্রয়োগে একবারে কঠোর