পাতা:মায়া-পুরী - রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী.pdf/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ २२ ] যে সকল আঘাত ও উত্তেজনা কখনও বা সুখ দেয়, কখনও ব৷ দুঃখ দেয়, কখনও বা সুখদুঃখ কিছুই দেয় না, জীব সেই সকল স্থলে মুখ লাভের বা দুঃখ-পরিহারের চেষ্টা করিতে গিয়া সময়ে সময়ে ঠকিয়া যায় ; আপাততঃ সুখজনক বলিয়া যাহাকে গ্রহণ করে, ভবিষ্যতে ও পরিণামে তাহা হয় ত দুঃখ আনয়ন করে । জামের মত যদি আফিমের গুলি সুলভ হইত, তাহা হইলে অহিফেন-তৃষ্ণ দমনের জন্ত প্রকৃতি দেবীই একটা ব্যবস্থা করতেন ; মলভ নহে বলিয়াই মানুষ এখানে নেশার অধীন । সেই রূপ আপাততঃ দুঃখ মনে করিয়া যাহাকে পরিহার করে, তাহ পরিণামে হয় ত কল্যাণ কর হইতে পারিত । সহজসংস্কারের নিতা স্ত বশবৰ্ত্তী হইয়া চলিলে এ সকল স্থলে পরিণামে মঙ্গল হয় না । অস্তুতের উপর অন্ধু ও এই যে, এইরূপ স্থলে ও কর্তব্য-নির্ণয়ের জন্ত কতক গুলি জীব একট। ব্যবস্থা করিয়া লই মুছে । যেখানে সহজসংস্কার কোন ও উপদেশ দেয় না, সেখানে বুদ্ধিবৃত্তি ও বিচার-শক্তি আসিয়া গন্তব্য পথ দেখাইয়া দেয় । এই বুদ্ধিবৃত্তি ও বিচার-শক্তির ক্ষমতা অতি আশ্চৰ্য্য । উন্নত জীবের মধ্যে আবার যাহারা আতু মত প্রকোষ্ঠে বৰ্ত্তমান আছে, তাহাদের মধ্যেই এই বৃত্তি ও এই ক্ষমতা স্পষ্ট দেখা যায় । মৌমাছি অতি অদ্ভুত ধরণের মৌচাক নিৰ্ম্মাণ করিয়া তাহাতে মধু সঞ্চয় করে। পিপীড়া আরও অদ্ভুত ধরণে সমাজ-পালনের ব্যবস্থা করে ; কিন্তু বুদ্ধিপূৰ্ব্বক করে, ইহা বলা চলে না । উছার সহজ ংস্কারের প্রভাবেই ঐ স ক ল কাও করিয়া থাকে । মৌমাছি যন্ত্রের মত পুরুষানুক্রমে তাহার চাক নিৰ্ম্মাণ করিয়া আসিতেছে ; পিপীড়া যন্ত্রের মতই তাহার সমাজ বাধিয়া আদিতেছে ; এ সকল কার্য্যে তাহারা সংস্কারবশে বাধ্য আছে অথবা প্রকৃতি কর্তৃক নিযুক্ত