পাতা:মায়া-পুরী - রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী.pdf/৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

1 כסי ] কালও তাছা সেইরূপে ঘটিয়া থাকে। আবার অনেকগুলা ঘটনা একই রকমে ঘটে। কেন সেই শৃঙ্খলা আছে, তাহা আমরা জানি না ; কিন্তু আছে, তাহ দেখিতেছি । বৈজ্ঞানিক, যিনি পর কলা চোখে, মাপকাঠি হাতে, বসিয়া বসিয়া দেখিতেছেন, তিনি এই সকল শৃঙ্খলা খুজিয়া বাহির করেন । তোমার আমার চোখে যে শৃঙ্খলা ধরা পড়ে না, বৈজ্ঞানিকের চোখে তাহ ধরা পড়ে। তিনি জাগতিক বিধি-বিধানের আবিষ্কার করেন। নারিকেল ফলের গতির যে নিয়ম, চাদের গতির ও সেই নিয়ম, গ্ৰহগণের গতিরও সেই নিয়ম, আবার জোয়ার-ভাটায় মহাসাগরের অম্বুপূষ্ঠের উত্থান-পতনেও সেই নিয়ম । ইগ নিউটনের পূৰ্ব্বে কাহারও চোখে পড়ে নাই ; নিউটনের চোখে পড়িয়াছিল, তাহাতেই নিউটনের নিউটনত্ব । ফলে বৈজ্ঞানিক কেবল দ্রষ্টা । জগতে যাহা ঘটিতেছে এবং সেই ঘটনা-পরম্পরা যে নিয়মে চলিতেছে, তাহাই তিনি দেখেন । কিন্তু তিনি জগতের কতটুকু দেখেন ? এইখানে বলিতে বাধা হইব যে, দূরবীক্ষণ আর অণুবীক্ষণ প্রভৃতি সহস্ৰ যন্ত্র সন্থার থাকিতেও তিনি জগতের অতি অল্প অংশই দেখিতে পান । কেন না, বিশ্বজগতের অস্ত কোথায়, তাহা তিনি এখনও আবিষ্কার করিতে পারেন নাই এবং সেই জন্ত আপাততঃ জগৎকে অনন্ত বলিয়া সিদ্ধাস্ত করিয়া ফেলিয়াছেন । পাচটার অধিক ইন্দ্রিয় নাই ; এই পাঁচটা ইন্দ্রিয়ও আবার নানা দোষে অসম্পূর্ণ। আচার্য হেলমহোৎজ একবার আক্ষেপ কৰিয়া ৰলিয়াছিলেন, আমাদের ইক্তিরের মধ্যে বাহা শ্রেষ্ঠ অর্থাৎ চক্ষু, উহাতে এত দোষ বিদ্যমান যে, যদি কোনও শিল্পী ঐরুপ নানাদোষ-দুষ্ট যন্ত্র প্রস্তুত করিয়া দিত, তিনি তাহার দাম দিতেন না । ইন্দ্রিয়গুলির দোষ