পাতা:মায়া-পুরী - রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী.pdf/৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( రిఅ ) মধ্যে এবং অচেতন ও চেতনের মধ্যে যে প্রাচীরের ব্যবধান আছে, সেই ব্যবধান সম্যক লুপ্ত হয় নাই। প্রাচীরের এখানে একটা ওখানে একটা দরজ ফুটাইবার চেষ্টা হইয়াছে মাত্র, কিন্তু জগৎযন্ত্রের মডেল এখনও নানা প্রকোষ্ঠে বিভক্ত রহিয়াছে ; ভিন্ন ভিন্ন প্রকোষ্ঠের মধ্যে অব্যাহতভাবে স্রোত বহাইবার উপায় এখনও নির্দিষ্ট হয় নাই । আর একটা কথার উল্লেখ করিয়া আমার পরমদয়ালু শ্রোতৃগণকে অব্যাহতি দিব । পুৰ্ব্বে বলিয়াছি, জীবের যত কিছু চেষ্টা কেবল আত্মরক্ষার জন্ত, জীবন-যুদ্ধে বাহ্যজগতের আক্রমণ হইতে আপনাকে রক্ষার জন্য। মনুষ্য যে বুদ্ধিবৃত্তির সাহায্য লইয়া বাহজগৎ সম্বন্ধে অভিজ্ঞতা স্ত,পীকৃত করিয়াছে, তাহার উদ্দেশু বাহজগৎকেই আপনার জীবন-রক্ষায় নিয়োগ করা। অরণ্যবাসী মনুষ্য যে দিন ভূমিতে বীজ পুতিয়া শস্ত্য-সংগ্রহের চেষ্টা করিয়াছিল এবং সেই শস্ত আগুনে পাক করিয়া আরণ্য ওষধির ফলকে সুপথ্য অন্নে পরিণত করিয়াছিল, সেই দিন সে অজ্ঞাতসারে যে বৈজ্ঞানিক-পদ্ধতির পরিচয় দিয়াছিল, পুথিবীর যাবতীয় লাবরেটারিতে সেই বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির অনুসারী কারখানা অদ্যাপি চলিতেছে । এই আত্মরক্ষার প্রযত্নে ও আত্মপুষ্টির প্রযত্নে আমরা আজ বিস্ময়কর সফলতা লাভ করিয়াছি। দেবরাজের বজে একদিন ধাহার আবির্ভাব ছিল, তিনি আজ আমাদের গাড়ী চালাইতেছেন, পাখা টানিতেছেন, জল তুলিতেছেন, দূর হইতে ংবাদ বহন করিতেছেন । জাগতিক শক্তিচয়কে আমরা আমাদের কাজে মজুর খাটাইতেছি । কবি-কল্পিত লঙ্কেশ্বর স্বর্গের সমস্ত দেবতাকে ভৃত্যুত্বে নিযুক্ত করিয়াছিলেন ; বৈজ্ঞানিক পণ্ডিতগণের তপ শু -বলে আমরা ও ভোকেই এক একটা লঙ্কেশ্বর হইয়াছি ।