পাতা:মায়া-পুরী - রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী.pdf/৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ २ ] এখনও তাহ নিশ্চয় করিয়া বলিতে পারেন না ; কিন্তু আমরা মোটামুটি ঐখানেই উহার সীমানা ধরিয়া লই। এই সীমাবদ্ধ সঙ্কীর্ণ দেহটাকে আমরা নিতান্তই আপনার আত্মীয় ভাবি এবং ইহার বাহিরে বিশ্বজগতের যে বিশাল কায় বিদ্যমান, তাহাকে অনাত্মীয় বা পর ভাবি ৷ দেহকে এত আত্মীয় ভাবি যে, সে কালের ও একালের বহু পণ্ডিত ও বহুতর মূর্থ–র্যাহাদের শাস্ত্রসম্মত উপাধি দেহাত্মবাদী—র্তাহার এই দেহকেই সৰ্ব্বস্ব স্থির করিয়া নিশ্চিন্ত ছিলেন ও আছেন । যিনি এই বিশ্বজগতের এবং বিশ্বজগতের অন্তর্গত এই দেহের কল্পনা কৰ্ত্ত ও রচনা কৰ্ত্তা, দ্রষ্টা ও সাক্ষী, তাহার অস্তিত্ব পর্য্যস্ত না মানিতে ইহারা উদ্যত । সে কথা এখন থাক্ । এই দেহ যাহা অামার আপন, ও বিশ্বজগতের অপরাংশ বাহা আমার পর, এই উভয়ের সম্পর্ক বড় বিচিত্র । বিশ্বজগতের এই অপরাংশকে বাহাজগৎ বলিব। এই দেহের সহিত বাহ জগতের অমুক্ষণ কারবার চলিতেছে এবং এই কারবারের নামাস্তর জীবন । এই কারবার যে ক্ষণে আরব্ধ হয়, সেই ক্ষণে জীবনধারী জীবের জন্ম এবং এই কারবার যে ক্ষণে সমাপ্ত হয়, সেই ক্ষণে তাহার মৃত্যু ৷ জন্ম ও মৃত্যু, এই দুই ঘটনার মাঝে যে কাল, সেই কাল ব্যাপিয়া দেহের সহিত বাহাজগতের সম্পর্ক থাকে ও কারবার চলে। সে কিরূপ সম্পর্ক ? প্রথমতঃ উহ বিরোধের সম্পর্ক । বাহাজগৎ দেহকে আত্মসাৎ করিবার চেষ্টায় আছে ; সহস্ৰ পথে সহস্র উপায়ে উহাকে নষ্ট করিয়া আপনার পাঞ্চভৌতিক উপাদানে লীন করিতে চাহিতেছে ; শীতাতপ, রেীক্স-বর্ষা, সাপ-বাঘ, মাষ্টার ও ডাক্তার, ম্যালেরিয়া প্লেগ ও ৰেরিবেরি, এই সহস্র মূৰ্ত্তি ধারণ করিয়৷ দেহকে বিপন্ন নষ্ট ও লুপ্ত করিতে চাহিতেছে। ফলে বাহজগৎই জীবদেহের পরম