পাতা:মা - ম্যাক্সিম গোর্কি - বিমল সেন.pdf/১০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মা

 এমনিভাবে বই বাছাই চলতে লাগলো। পেভেল ইয়াফিমকে জিগ্যেস করলো, তোমার নিজের জমি আছে?

 হাঁ, ছিল, কিন্তু জমি চ’ষে আর রুটি মেলে না, তাই ছেড়ে দিয়েছি। ভাবছি, এবার সৈন্যদলে ঢুকবো। কাকা বারণ করেন, বলেন, সৈন্যদের কাজ তো লোকদের ধরে ঠেঙানো। কিন্তু আমি যাবো, বহুযুগ ধরে মানুষদের সৈন্যের সাজে সাজিয়ে রাখা হয়েছে—আজ তার অবসান করার দিন এসেছে। কি বলেন?

 দিন এসেছে সত্য, কিন্তু কাজটা শক্ত। সৈনিকদের কি বলতে হবে, কেমন ক’রে বলতে হবে, তা জানা চাই।

 তা জানবো, শিখবো।

 কর্তারা টের পেলে গুলি ক’রে মারবে।

 তা’ জানি। জানি যে তারা কোনো দয়া দেখাবে না। কিন্তু লোক তো জাগবে। আর এই জাগরণই তো বিদ্রোহ। নয় কি?

 এবার ওঠা যাক।

 রাইবিন, ইয়াফিম উঠে পড়লো। বইগুলো হাতে নিয়ে ইয়াফিম বললো, আজকাল এ-ই আমাদের আঁধারের আলো।

 তারা চ’লে গেলে পেভেল এণ্ড্রি কে বলে, রাইবিনের তেজ আছে দেখছি।

 এণ্ডি বললো, হাঁ, আমিও তা’ লক্ষ্য করেছি।···চাষীদের মন আজ বিষিয়ে উঠেছে। ওরা যখন জাগবে, ওরা যখন নিজেদের পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়াবে, সমস্ত জিনিস ওরা ওলট-পালট ক’রে দেবে। ওরা চায় যুক্তি, জমি—তাই সমস্ত কিছু প্রতিষ্ঠানকে ওরা ভেঙে-চুরে পুড়িয়ে ভূমিসাৎ

১০৫