এণ্ড্রি ব’লে উঠলো, চাষীদের জন্য আমরা একথানা কাগজ বের ক’চ্ছি। তুমি টাইপ সাজানো শিখে তার কম্পোজিটারের কাজ কর। আমি তোমায় শিখিয়ে দেবো।
নিকোলাই বললো, তা’ যদি দাও, তাহ’লে এই ছুরিখানা তোমায় উপহার দেবো।
এণ্ড্রি হেসে উঠলো, ছুরি! ছুরি নিয়ে কি করব?
কেন,—ভালো ছুরি, দেখো না!
আচ্ছা, সে দেখা যাবে। এখন চল, বেড়িয়ে আসি।
তিন জনে বেড়াতে বেরিয়ে গেলো।
দিন ব’য়ে চললো এম্নি ক’রে। পয়লা মে’র উৎসবের আয়োজনও চলতে লাগলো পূর্ণ মাত্রায়। পথে, ঘাটে, কারখানায়, দেয়ালে, থানার গায়ে, লাল ইস্তাহারের ছড়াছড়ি। পেভেল এণ্ড্রি দিন-রাত সমানে খাটে। মার ওপরও বহুৎ কাজের ভার থাকে। মা সারাদিন তাই নিয়ে ছুটোছুটি ক’রে বেড়ান। স্পাইতে পল্লি ভ’রে গেছে কিন্তু কাউকে হাতে-কলমে ধরতে পাচ্ছেনা। পুলিসদের শক্তিহীনতা দেখে তরুণদের আশা এবং উৎসাহ বাড়ছে।
তারপর এলো সেই পয়লা মে।
মা সব্বার আগে জেগে উনুন ধরিয়ে চায়ের জল চাপালেন। জল ফুটে গেলো, কিন্তু তিনি ছেলেদের ডাকলেন না। আজ ওরা একটু ঘুমোক, এ ক’দিন অতো খেটেছে।
কারখানার পয়লা বাঁশি বেজে গেলো। তখনো তাদের ঘুম ভাঙলো না। দ্বিতীয় বাঁশি বাজাতে এণ্ড্রি উঠে পেভেলকেও ডেকে তুললো। তারপর চা খেতে গেলো মায়ের কাছে।
১০৭