মা এণ্ড্রিকে একান্তে বললেন, এণ্ড্রি, ওর কাছে-কাছে থাকিস বাবা!
নিশ্চয়ই। যতক্ষণ সম্ভব, থাকবো।
পেভেল বললো, চুপি-চুপি কি কথা হ’চ্ছে তোমাদের?
কিছু না। মা বলছিলেন, হাত-মুখ বেশ ক’রে ধুতে, যাতে মেয়েরা আমাদের দিকে চেয়ে আর না চোখ ফেরাতে পারে। ব’লে এণ্ড্রি হাতমুখ ধুতে চলে গেলো।
পেভেল গাইতে লাগলো মৃদুস্বরে, ওঠো, জাগো, মজুরদল···
মা বললেন, শোভাযাত্রার বন্দোবস্ত করলে পারতিস এখন।
বন্দোবস্ত সবই ঠিক হ’য়ে আছে, মা।
যদি আমরা ধরা পড়ি আইভানোভিচ এসে যা’ করার করবে। সে-ই তোমায় সব রকমে সাহায্য করবে।
বেশ···মা দীর্ঘনিশ্বাস ফেলে বলেন।
ফেদিয়া মেজিন যৌবনোচিত উৎসাহ এবং আনন্দ-দীপ্ত হ’য়ে ছুটতে ছুটতে এসে খবর দিল, শুরু হ’য়ে গেছে। সবাই রাস্তায় বেরিয়েছে। নিকোলাই, গুসেভ, শ্যামোয়লোভ কারখানার গেটে দাঁড়িয়ে বক্তৃতা দিচ্ছে। বেশির ভাগ লোক কারখানা ছেড়ে বাড়ি চ’লে এসেছে। চলো, আমরাও যাই, এই ঠিক সময়। দশটা বেজে গেছে।
যাচ্ছি।
দেখবে, মধ্যাহ্ন-ভোজের পর সবাই জেগে উঠবে।
মেজিন, এণ্ড্রি, পেভেল, মা— চারজনেই বেরিয়ে পড়লেন পথে। দোরে, জানালায়, পথে, সর্বত্র লোকের ভিড় এবং কোলাহল। সবাই এণ্ড্রি পেভেলের দিকে চাইছে, সবাই তাদের অভিনন্দিত করছে।
১০৮