এক জায়গায় একজন চিৎকার ক’রে উঠল, পুলিস ধরবে ওদের; তা’ হ’লেই সব শেষ।
আর একজন জবাব দিলো, ধরুক, তাতে কি হয়েছে!
আর একটু দুরে জানালা দিয়ে ভেসে আসছে এক রমণীর অশ্রুরুদ্ধ কণ্ঠস্বর··· একবার ভেবে দেখ, তুমি কি একা?—একা নও। ওরা সব অবিবাহিত। ওদের কি···
যোশীমভের পা কবে কাটা পড়েছিল ব’লে কারখানা থেকে সে মাসোয়ারা পেতো। তার বাড়ির সামনে দিয়ে যেতে সে জানালা দিয়ে মুখ বের ক’রে চেঁচিয়ে উঠলো, পেভেল, পাজি, তোর মুণ্ডুটা ওরা ছিঁড়ে না নেয় তো কি বলেছি!
মা শিউরে উঠলেন, ক্রুদ্ধ হলেন। তারা কিন্তু কিছুমাত্র গায়ে না মেখে দিব্যি সাত-পাঁচ গল্প করতে করতে চল্লো। মিরোনোভ ব’লে এক মজুর এসে তাদের বাধা দিয়ে বললো, শুন্চি নাকি তোমরা দাঙ্গা করতে যাচ্ছ, সুপারিণ্টেণ্ডেণ্টের জানালা ভাঙতে যাচ্ছো?
পেভেল বললো, সে কি! আমরা কি মাতাল?
এণ্ড্রি বললো, আমরা যাচ্ছি শুধু নিশান নিয়ে শোভাযাত্রা বের করতে, আর মজুরদের গান গাইতে। সে গান তোমরাও শুনতে পাবে। সেতো শুধু গান নয়···সে মজুরদের মন্ত্র, মজুরদের মতবাদ!
মিরোনোভ বললো, সে সব আমি জানি। আমি তোমাদের লেখা পড়ি কিনা··· তারপর মা, তুমিও বুঝি বিদ্রোহ করতে চলেছো।
হাঁ। মৃত্যু যদি আসে, আমি সত্যের সঙ্গে গলাগলি হ’য়ে পথ চলবো।
১০৯