পাতা:মা - ম্যাক্সিম গোর্কি - বিমল সেন.pdf/১০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মা

 ওরা দেখছি নেহাৎ মিথ্যে বলেনি যে, তুমিই কারখানায় নিষিদ্ধ ইস্তাহার ছড়াও।

 কারা বলেছে? পেভেল জিগ্যেস করলো।

 লোকেরা! আচ্ছা, আসি তাহ’লে।···

 মিরোনোভ চ’লে যেতে পেভেল বললো, তুমিও দেখছি, মা, জেলে যাবে।

 যাই যাবো—মা ধীরে ধীরে বলেন।

 সূর্য ওপরে উঠলো। বেলা বাড়ছে। লোকের উত্তেজনাও বাড়ছে। বড় রাস্তার গায়ে এক গলির মাথায় শ’খানেক লোকের ভিড়। তার মধ্য দিয়ে আসছে নিকোলাইর গলা··· মুগুরের ঘায়ের মতো···‘ওরা আমাদের রক্ত নিঙরে নিচ্ছে, ফল থেকে রস যেমন ক’রে নেওয়া হয়।···’

 সত্যি কথা—একযোগে অনেকগুলি কণ্ঠ বেজে উঠলো।

 এণ্ড্রি বললো, সাবাস, নিকোলাই! বলেই সে তার কর্কস্ক্রুর মতো দেহটা ভিড়ের মধ্যে গলিয়ে দিলো! পরক্ষণেই বেজে উঠলো তার গলা, বন্ধুগণ, ওরা বলে, পৃথিবীর বুকে বিভিন্ন জাতি···ইহুদী, জার্মান, ইংরেজ, তাতার···কিন্তু আমি তা’ বিশ্বাস করিনে। দু’টি মাত্র পরস্পর-বিদ্বেষী জাত আছে দুনিয়ায়—ধনী এবং দরিদ্র। ধনীদের পোশাক বিভিন্ন হ’তে পারে, ভাষা স্বতন্ত্র হতে পারে, দেশ হিসাবে তারা ফরাসী, জার্মান অথবা ইংরেজ হ’তে পারে, কিন্তু মজুরদের সঙ্গে কারবারের বেলা তারা সবাই একজাত, সবাই তাতার। নিপাত যাক এই ধনীর দল!

 শ্রোতাদের মধ্যে একটা উল্লাসের ঢেউ বয়ে গেলো।

 এণ্ড্রি বলতে লাগলো, এবার চাও মজুরদের দিকে। ফরাসী মজুর,

১১০