আমাদের লক্ষ্য সম্বন্ধে যারা সন্দিগ্ধ, তারা আমাদের সঙ্গ ত্যাগ ক’রে চ’লে যাক···তারা চিরদিন পাবে শুধু দুঃখ। সঙ্গীদল, সজ্জিত হ’য়ে দাঁড়াও, বলো, জয়যুক্ত হ’ক এই পয়লা মে···জয়যুক্ত হ’ক মুক্ত মজুর সংঘের এই উৎসব-তিথি।
হাজার হাজার কণ্ঠ ধ্বনিত হয়ে উঠলো সঙ্গে সঙ্গে, জনতা চেপে দাঁড়ালো। পেভেল লাল-নিশান তুলে ধরলো···তাতে সূর্যের রক্ত-বর্ণ কিরণ এসে ঝক্ ঝক্ ক’রে জ্বলতে লাগলো। ফেদিয়া মেজিন চেঁচিয়ে উঠলো, পুরাণো জগৎ ছেড়ে বেরিয়ে পড় যাত্রীদল।···
যাত্রা শুরু হ’ল। সবার আগে নিশান হাতে পেভেল। তারপরেই অন্যান্য নায়কদল। সবাই মজুরদের বিজয়-সংগীত গাইতে গাইতে চলেছে!
ওঠো, জাগো, মজুরদল!
ক্ষুধিত মানব যুদ্ধে চল।
পথের দু’ধার থেকে দলে দলে লোক সোল্লাসে নিশানের দিকে ছুটে আসে, ভিড়ে মিশে যায়, তারপর বিপ্লব-সংগীতে গগন আলোড়িত ক’রে অগ্রসর হয়।
মা এ গান এর আগেও শুনেছেন বহুবার। কিন্তু আজ যেন প্রথম এর সুর তাঁর প্রাণে গিয়ে লাগলো,—
দুঃখী সঙ্গী কাঁদিছে হায়!
সেথা যেতে হবে···আয়রে আয়···
জনতা গানের সুরে মেতে উঠতে লাগলো।
এক মা যাত্রী ছেলেকে বেঁধে রাখার চেষ্টায় কেঁদে উঠছেন, মিতিয়া, কোথায় যাচ্ছিস, বাবা!
১১৪