মার যেন পা আর চলে না। সবাই ঊর্ধ্বশ্বাসে পালাচ্ছে।
পালা না ডাইনী, বলে একজন তাঁকে এক ঠ্যালায় রাস্তার পাশে সরিয়ে দিলো। মা নিশানের লাঠিটায় ভর দিয়ে চলতে লাগলেন দ্রুতপদে। পা তাঁর ভেঙে এলো। দেয়াল এবং বেড়া ধ’রে ধ’রে চলছেন। সৈন্যেরা খালি হাঁকছে, যা যা, বুড়ি।
মা চ’লে যাবেন ভাবলেন, কিন্তু অজ্ঞাতে তাঁর পা যেন তাঁকে আবার সামনের দিকে চালিয়ে নিলো। পথ শূন্য। মা দাঁড়ালেন। দুর থেকে অস্পষ্ট শব্দ কানে এলো। শব্দ লক্ষ্য করে এগিয়ে চললেন তিনি। রাস্তার মোড়ে একদল লোক উত্তেজিত কণ্ঠে কোলাহল করছে।
ওরা শুধু বাহাদুরী দেখাবার জন্য সঙিনের সামনে বুক পেতে দিচ্ছেনা—এটা মনে রেখো।
দেখ দিকি ওদের দিকে চেয়ে, সৈন্যরা এগোচ্ছে আর ওরা নির্ভীক ভাবে দাঁড়িয়ে আছে তাদের সামনে।
একবার পেভেলের কথা ভাবো।
আর এণ্ড্রি, সেও কি কম?
ঐ কর্মচারী ব্যাটার রকম দেখ—দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে হাসছেন—ব্যাটা শয়তান।
মার মনের কথা যেন কণ্ঠ দিয়ে ঠেলে বেরোতে চাচ্ছিলো। ঠেলে ভিড়ের মধ্যে ঢুকে তিনি চেঁচিয়ে উঠলেন, প্রিয় বন্ধুগণ,...
সবাই সসম্ভ্রমে তাঁকে পথ করে দিলো।
একজন বললো, দেখ দেখ, ওঁর হাতে নিশান! আর একজন কঠিন কণ্ঠে বললো, চুপ।
মা হাত ছড়িয়ে দিয়ে বলতে লাগলেন, বন্ধুগণ, শোনো। মানুষ
১২৩