মা বললেন, হাঁ, যাবো আমি। এখানে নিষ্কর্মা হয়ে বসে থাকতে পারি না।
আইভানোভিচ বললো, কাজ তুমি আমাদের ওখানে পাবে, মা।
আমি ঘরের কাজের কথা বলছিনে!
ঘরের কাজ নয়, যে কাজ তুমি চাও, তাই।
কি কাজ দেবে আমায়?
জেলে পেভেলের সঙ্গে দেখা ক’রে সেই চাষী যে কাগজ বের করবার কথা বলেছিল, তার ঠিকানা যদি আনতে পারো!
মা সোৎসাহে ব’লে উঠলেন, জানি, তার ঠিকানা আমি জানি। কাগজ দাও, আমি দিয়ে আসছি তাদের।···আমায় একাজে টেনে নাও···সর্বত্র আমি যাবো তোমাদের কাজে···শীত মানবো না, গ্রীষ্ম মানবো না, মৃত্যু দেখেও শিউরে উঠবো না···সত্য-পথে দৃঢ় পদে এগিয়ে এগিয়ে যাবো···আমায় কাজ দাও।
চারদিন পরে আইভানোভিচ মাকে তার শহরের বাড়িতে নিয়ে গেলো।
—দুই—
মা যেন এক ছেলের বাড়ি থেকে আর এক ছেলের বাড়ি এসেছেন। কোন সংকোচ, কোন অসুবিধা নেই তাঁর। সংসারে কোন কিছু গোছানো ছিল না, মা তা’ পরিপাটি করে গুছিয়ে নিলেন।
চা খেতে খেতে আইভানোভিচ বললো, আমি যে বোর্ডে কাজ করি, মা, তার কাজ হল চাষীদের অবস্থা নিরীক্ষণ ক’রে রিপোর্ট দেওয়া—
১৩০