চিনেছি। কিন্তু আজ দেখছি ভুল। বইয়ে যা পড়েছি, কল্পনায় যা তার আন্দাজ করে নিয়েছি—তােমার মতাে ভুক্তভােগীর কথা শুনে বুঝলুম, তার চাইতে ঢের, ঢের বেশি ভীষণ বাস্তব জীবন!···
এমনি আরাে অনেক কথা হল।
কাগজ সম্বন্ধে স্থির হ’ল, শোফি মার সঙ্গে গ্রামে গিয়ে সেই চাষীর সঙ্গে সব ঠিকঠাক করে আসবে। গ্রামটা সেখান থেকে প্রায় পঞ্চাশ মাইল দূরে।
—তিন—
তিনদিন পরে মজুরানীর ছদ্মবেশে শােফি আর মা মখন বেরিয়ে পড়লেন গ্রামের উদ্দেশে, তখন তাঁদের চেনাই দায় হল। মনে হল যেন তাঁরা আজীবন এই বেশেই ঘুরে বেড়াচ্ছে।
দু’পাশে গাছের সারি, মাঝখানে পথ। হাঁটতে হাঁটতে মা প্রশ্ন করলেন, হাঁটতে কষ্ট হবে না তাে?
শােফি হেসে বললো, এ পথে কি আমি এই নতুন বেরিয়েছি ভাবছ, মা? আমার এসব অভ্যেস আছে।···
তারপর মানুষ যেমন করে ছেলেবেলায় খেলা-ধুলাের কথা বর্ণনা করে তেমনি ক’রে বলে গেলো শােফি তার বিচিত্র বিপ্লব-কাহিনী। কখনাে সে রয়েছে নাম ভাঁড়িয়ে, দলিল-পত্র করেছে জাল। কখনো গােয়েন্দাদের চোখে ধুলি দিতে আত্মগােপন করেছে রকম-বেরকমের ছদ্মবেশে। শহরে শহরে চালান করেছে শত শত নিষিদ্ধ পুস্তক।
১৩৪