পাতা:মা - ম্যাক্সিম গোর্কি - বিমল সেন.pdf/১৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মা

 হ’ক। আমি যাবো, রাঁধুনীর কাজ করবো।

 শহরের উত্তেজনা আর ভালো লাগছিল না বলে মা এই কাজ বেছে নিলেন

 পরদিন জেলে ছেলের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন। হাতের মুঠোয় ছিল ছোট ক’রে ভাঁজ-করা চিঠি। হ্যাণ্ডসেক করার সময় পেভেলের হাতে তা গুঁজে দিলেন।

 বাড়ি এসে শশার সঙ্গে দেখা। মার কাছে পেভেলের খবর নিয়ে শশা বললো, তুমি কি মনে কর, মা, সে রাজি হবে?

 জানিনে—হবে বোধহয়। বিপদই যদি না থাকে তো আর কি আপত্তি থাকতে পারে!

 শশা, ধীর করুণ-কণ্ঠে বললো, আমি জানি, সে রাজি হবে না। তোমার কাছে মিনতি, মা—তাকে মত করিয়ে বলো, তাকে দরকার, তাকে নইলে কাজ চলবে না···তার আস। চাই-ই...

 মা শশাকে কোলে টেনে বললেন, সে কি কারো কথা শোনে; মা?

 ঠিক বলেছো, মা, শোনে না...চল রোগীকে খেতে দিইগে।

 মা এসে আইভানের পাশে ব’সে গল্প জুড়ে দিলেন। আইভান মাকে চিনতো না। কথায় কথায় বললো, পেভেলের কথা শুনেছো?—সে-ই সর্বপ্রথম আমাদের নিশান উড়িয়েছে প্রকাশ্যে—আর তার মা... তিনিও আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন তারপর···অদ্ভুত রমণী তিনি।

 মা একটু হাসলেন। বললেন, খাও দেখি আরো। যত তাড়াতাড়ি ভালো হ’য়ে যাবে, তত তাড়াতাড়ি কাজে লাগতে পারবে। দেশ আজ চায় সবল হাত, শুদ্ধ হৃদয়, সাধু মন।....

 সন্ধ্যার সময় শোফি বললো, একবার গ্রামে যেতে হ’বে, মা।

১৬২