একজন চাষী ফেললো দীর্ঘনিশ্বাস। রাইবিন আবার ব’লে উঠলো, দেখছো তো, ভাইসব?
চুপ, ব’লে সার্জেণ্ট তার মুখে এক ঘা দিলো।
রাইবিন ঘুরে পড়ে বললো, ওরা শুধু এমনি করে মানুষের হাত বেঁধে মারে, যা খুশি ক’রে নেয়।
ধরো ব্যাটাকে। ভাগ্ ব্যাটারা—ব’লে সার্জেণ্ট রাইবিনের সামনে লাফিয়ে পড়ে উপর্যুপরি ঘুষি চালাতে লাগলো, মুখে, বুকে, পেটে।
একবার জনতার যেন ধৈর্যচ্যুতি হ’ল।
মেরোনা।···মারছো কেন? অকেজো পশু কোথাকার!··· ছিনিয়ে নিয়ে চলো ওকে।···
সেই নীল-চোখ চাষীটি রাইবিনকে সঙ্গে নিয়ে চললে। টাউন হলের দিকে। সার্জেণ্ট গর্জন ক’রে উঠলো, খবর্দার, নিয়ে যেয়োনা।···
নীল-চোখ চাষীটি জবাব দিলো, না, নোব; নইলে তোমরা একে মেরে ফেলবে।
রাইবিন এবার বেশ জোর গলায় বললো, চাষীবন্ধুগণ, তোমরা কি বুঝতে পারছো না, কী শোচনীয় তোমাদের জীবন? তোমরা কি বুঝতে পারছো না, ওরা কেমন ক’রে তোমাদের লুণ্ঠন করে— প্রতারণা করে— রক্ত পান করে? এই দুনিয়াকে রক্ষা করছে কারা—তোমরা। কাদের উপর দাঁড়িয়ে আছে এই বিশ্ব-ব্যাপী সভ্যতা?— তোমাদের ওপর। বিশ্বের সমস্ত কিছুর মূলীভূত শক্তি কাদের মধ্যে?—তোমাদের মধ্যে। কিন্তু সেই তোমরা কি পেয়েছো?···পেয়েছো উপবাস। ওই তোমাদের একমাত্র পুরস্কার।···
১৬৬