পাতা:মা - ম্যাক্সিম গোর্কি - বিমল সেন.pdf/১৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মা

 যথার্থ কথা! আরো ব’লো, আরো ব’লো, তোমার গায়ে হাত তুলতে দেবো না। ওর হাত খুলে দাও।

 না, থাক।

 খুলে দাও বলছি।

 পুলিসরা ভয়ে হাত খুলে দিয়ে বললো, শেষটা পস্তাবে!

 রাইবিন বললো, ভাই সব, আমি পালাবো না। পালিয়ে আমি আত্মগোপন করতে পারি কিন্তু সত্যকে কেমন ক’রে গোপন করবো? সে যে এইখানে···আমার অন্তরে।

 জনতা এবার যেন গরম হ’য়ে উঠলো। রাইবিন তার রক্ত-মাখা হাত দু’খান। ঊর্ধ্বে তুলে বলতে লাগলো, ভাইসব, আমি দাঁড়িয়েছি তোমাদেরই জন্য···তোমাদেরই দাবি নিয়ে। এই দেখ আমার রক্ত—সত্যের জন্য এ রক্তপাত হয়েছে।···সেই সত্যের দিকে তোমরা নজর রেখো, সেই বই পড়ো। কর্তারা, পুরুতরা বলবে···আমরা নাস্তিক, ধ্বংসবাদী···তাদের কথায় বিশ্বাস কোরো না। সত্য চলেছে পৃথিবীর বুকের ওপর গোপন-পদসঞ্চারে, মানুষের মধ্যে খুঁজছে সে নীড়। কর্তাদের চোখের সামনে প্রকাশিত হচ্ছে অগ্নি-তপ্ত ছুরিকার মতো···তারা একে সইতে পারে না···এ তাদের কেটে—পুড়িয়ে দিয়ে যাবে।···এ তাদের মরণ-শত্রু; তাই এর গতি গুপ্ত। কিন্তু এই সত্যই তোমাদের পরম মিত্র।

 সাঁচ্চা কথা।···কিন্তু ভাই এর জন্য তোমার সর্বনাশ হ’বে।···

 কে ধরিয়ে দিলো এঁকে?

 একজন পুরুত···একটি পুলিস বললো।

 এমন সময় পুলিস-সাহেব ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলেন। জনতা কেমন যেন ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে পথ করে দিলো। সাহেব এসেই রাইবিনের

১৬৭