আপাদমস্তক নিরীক্ষণ করে বললে, ব্যাপার কি? এর হাত বাঁধা নেই কেন?···এই বাঁধো···
একজন পুলিস বললে, বাঁধাই ছিলো হুজুর, ওরা খুলে দিলো।
সাহেব জনতার দিকে চেয়ে হুমকি দিয়ে বললেন, ওরা কারা? কোথায় সে লোক?···তুমি? সুমাখভ্ ব’লে সেই নীল চোখ চাষীটির বুকে তরবারির মুঠো দিয়ে দিলেন এক ঘা। আর তুমি···মিশিন বলে, আর একজনের দাড়ি ধরে দিলেন টান। তারপর বাকি লোকগুলোকে তাড়া দিয়ে বললেন, ভাগ্ ব্যাটারা···সাহেব যে খুব অগ্নি-শর্ম্মা হ’য়ে উঠলেন তা নয়, সব যেন তিনি যন্ত্রের মত করে যাচ্ছেন
জনত। পালালো না, শুধু খানিকটে সরে সরে দাঁড়ালো।
সাহেব পুলিসটির দিকে চেয়ে বললেন, কিহে, হাত বাঁধছো না যে? ব্যাপার কি?
জবাব দিলো রাইবিন, আমি হাত বাঁধতে দিতে চাইনে। কেন বাঁধবে? পালাচ্ছিওনে, লড়াইও করছিনে।
সাহেব তার দিকে এগিয়ে বল্লেন, কি বলছো?
রাইবিনও চড়া গলায় জবাব দিলো, বলছি, তোমরা পশু —তাই মানুষকে এমনভাবে নির্যাতিত কর। কিন্তু সাবধান, সেই রক্ত-দিবস অচিরেই আসছে।···সেই দিন কড়ার-গণ্ডায় শোধ হবে এর।
কী! কি বললি পাজি, বদমাস। কি বললি — বলে সাহেব রাইবিনের মুখে এক প্রচণ্ড ঘুষি বসিয়ে দিলেন।
রাইবিন তার দিকে মুখ তুলে বললো, ঘুষি দিয়ে সত্যকে বধ কর। যায় না, কর্তা!···আমি জানতে চাই, কোন্ অধিকারে কুকুরের মতো কামড়াচ্ছো আমায়?
১৬৮