সাহেবের সুর তখন অনেকটা নরম হ’য়ে এসেছে···বলে, আমি মেরেছি বলেই তোমরা আমার বিরুদ্ধে হাত তুলবে? এতো সাহস তোমাদের?
কেন?···তুমি কোন্ স্বর্গ থেকে নেমে এসেছো?··· রাইবিন জবাব দিলো। তারপরই আবার শুরু হল জনতার কোলাহল।
তর্ক কোরোনা।···তুমি কাদের বিরুদ্ধে লেগেছো, জানো?— সরকারের।
রাগ করবেন না হুজুর। ওর মাথার ঠিক নেই।
শহরে নিয়ে যাবে তোমায়।
সেখানে সুবিচার পাবে।
পুলিসরা রাইবিনকে নিয়ে টাউন-হলের মধ্যে চলে গেলো। চাষীরাও যে যার বাড়ি চলে গেলো।
তারপর একটা গাড়ি এসে দাঁড়ালো টাউন হলের সামনে। রাইবিনকে হাত-বাঁধা অবস্থায় এনে ঠেলে ভ’রে দেওয়া হলো তার মধ্যে রাত্রির সেই অন্ধকার ভেদ ক’রে বেজে উঠলো রাইবিনের কণ্ঠস্বর: বিদায়, বিদায় বন্ধুগণ! সত্য সন্ধান কোরো, সত্য রক্ষা কোরো, সত্য-সেবক যে তাকে বিশ্বাস করো, সাহায্য করো, সত্যব্রতে আপনাকে উৎসর্গ করে দাও··· কিসের জন্য দুঃখ করছো তোমরা? এ জীবন তোমাদের কি দিয়েছে? কেন তোমরা মরতে বসেছো···অনাহারে? মুক্তির জন্য বুক বেঁধে দাঁড়াও।···মুক্তি তোমাদের মুখে অন্ন দেবে। সত্যের উদ্বোধন করো···
বলতে বলতে গাড়ি চোখের সামনে অদৃশ্য হয়ে যায়। রাইবিনের কণ্ঠস্বর ক্ষীণ, ক্ষীণতর, ক্ষীণতম হ’য়ে বাতাসে মিলিয়ে যায়।
১৭১