মনে করিনে। কে তোমরা? তোমাদের কি এক্তার আছে আমাদের বিচার করার? সে অধিকার কে দিয়েছে তোমাদের? জন-সাধারণ? না। আমি তোমাদের চিনিনে।···ব’লে সে টপ ক’রে ব’সে পড়লো।
এরপর অভিনয়ের অন্যান্য দৃশ্যগুলি পর-পর অভিনীত হ’তে লাগলো। জজদের মন্তব্য, সরকারি উকিলের আলোচনা, শেখানো-পড়ানো সাক্ষীদের সাক্ষ্য!···কিছুকালের জন্য আদালত ভঙ্গ···তারপর সেসন আরম্ভ।
শুরুতেই সরকারি উকিলের চার্জ-সীট দাখিল। অভিযুক্ত আসামীরা সদাহাস্য, নির্বিকার, তেজস্বী। জজরা যেন অসীম ঔদাসীন্য এবং নির্বিকারিতার এক-একটি ডিপো। সরকারি উকিলের লম্বা বক্তৃতা শোনার ধৈর্য যেন তাদের ছিল না।
সরকারি উকিলের পর আসামীপক্ষের উকিলের ডাক পড়লো।
একজন উকিল উঠে দাঁড়িয়ে বলতে লাগলেন, জীবন্ত শক্তিমান পুরুষ যে, যার অনুভূতি আছে, সাধুতা আছে, সে কখনও যথাশক্তি বিদ্রোহ না ক’রে পারে না, এই প্রাণহীন, প্রবঞ্চনাময়, মিথ্যাভরা জীবনের বিরুদ্ধে, সে কখনও না দেখে পারে না এই জ্বলন্ত বৈষম্য···
সাবধান হ’য়ে কথা বলুন।
উকিল বিন্দুমাত্র না দমে সমানভাবে বক্তৃতা চালাতে লাগলেন। ফলে সরকারি উকিল বেশ একটু গরম হ’য়ে উঠলেন, আর সঙ্গে সঙ্গে মেতে উঠলো আসামীদের প্রতি সহানুভূতি-সম্পন্ন শ্রোতৃদল।
হঠাৎ সব চুপচাপ পেভেল উঠে দাঁড়িয়েছে। মা সাম্নের দিকে ঝুঁকে পড়লেন।
পেভেল বলতে লাগলো, দলের লোক হিসেবে আমি মানি একমাত্র
১৮৬