পাতা:মা - ম্যাক্সিম গোর্কি - বিমল সেন.pdf/১৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মা

সমস্ত মানুষের পক্ষ নিয়ে···তারা এগিয়ে চলেছে। তরুণ তারা, শক্তিমান তারা, তাদের অদম্য শক্তি নিয়োজিত হচ্ছে, এক উদ্দেশ্য সাধনে, সে হচ্ছে ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা। মানুষের সকল দুঃখকে তারা জয় করতে চলেছে। পৃথিবীর বুক হতে দুঃখকে নিশ্চিহ্ন করে ফেলার জন্য তারা অস্ত্রধারণ করছে, যা-কিছু বীভৎস তা দমন করতে বেরিয়েছে তারা,— দমন করবে। একজন বলেছিল আমায়, আমরা এক নতুন সূর্য প্রজ্বালিত কববো— হাঁ, তারা তা করবে। সমস্ত জীবনকে একপ্রাণে গাঁথবে তারা, সমস্ত ছিন্ন হৃদয়কে একত্র সম্মিলিত করবে তারা। জীবনকে শুদ্ধ, পবিত্র, উজ্জ্বল করবে তারা।···

 ভাবে তন্ময় হ’য়ে মা আকাশের দিয়ে আঙুল তুলে বললেন, ঐ সেই সূর্য—গৌরবময় স্বর্ণ-সুষমাদীপ্ত মানুষের সুখ-সূর্য। সমস্ত ভুবনকে চিরকালের জন্য উজ্জ্বল ক’রে রাখবে এ··· পৃথিবীর সবাই, সমস্তখানি দীপ্ত হ’বে মানুষের প্রতি মানুষের প্রেমে বিশ্বের সমস্ত-কিছুর ওপর মানুষের প্রীতিতে।···এই সত্য এবং যুক্তি-পন্থীরা সকলের কাছে ব’য়ে নিয়ে যাবে প্রেমের আলোক। সমগ্র দুনিয়াকে ছেয়ে ফেলবে তারা এক নতুন আশমানে, সমস্ত-কিছুকে ভাম্বর ক’রে তুলবে তারা অন্তরের অনির্বাণ জ্যোতিতে, নবযাত্রীদের এই বিশ্বপ্রেম হতে উদ্ভুত হবে এক নবজীবন। কে নির্বাণ করবে এ শক্তিকে? কোন্ শক্তি এর চাইতে মহত্তর? কে দমিত করবে এ শক্তিকে? পৃথিবী এর জন্ম দিয়েছে, সমস্ত মানুষ এর জয়-কামনা করেছে! রক্তের নদী···শুধু তা কেন, সমুদ্র বইয়ে দাও, এ নিভবে না।···

 লিউদ্‌মিলার হাত ধরে তিনি বললেন, মা, মানুষের কাঙ্ক্ষিত আলোক যে তার নিজের মধ্যেই আছে, একথা জানা যে কতো হিতকর তা তোমায়

১৯৭