পাতা:মা - ম্যাক্সিম গোর্কি - বিমল সেন.pdf/১৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মা

গোপন প্রাণে পেয়েছে সত্যের দর্শন···গোপনে···কারণ, তোমরা জানো আজ যা সত্য, মানুষ তা খোলাখোলি বলতে পারেনা। ওরা তা’হলে গুলি করবে, টুটি টিপে ধরবে, জিভ কেটে ফেলবে। ধন একটা শক্তি কিন্তু তা সত্যের সুহৃদ নয়। সত্য ধনীর চির-শত্রু, মরণ-শত্রু। আমাদের ছেলেরা দুনিয়ায় এই সত্যের বার্তা প্রচারে বেরিয়েছে। তারা পবিত্র, তারা জ্যোতির্ময়। সংখ্যা তাদের অল্প, শক্তি তাদের কম, কিন্তু দলে বাড়ছে তারা। তরুণ প্রাণ সমর্পণ করছে তারা স্বাধীন সত্যের ব্রতে, সত্যকে পরিণত করছে তারা সর্বজয়ী শক্তিতে। তাদের প্রাণের পথ দিয়ে সেই সত্য এসে ঢুকবে আমাদের কঠোর জীবনে!— আমাদের উদ্দীপিত ক’রে তুলবে, সঞ্জীবিত করে তুলবে; আত্ম-বিক্রয়ী যারা, ধনী যারা, তাদের অত্যাচার থেকে টেনে তুলে বাঁচাবে। তোমরা বিশ্বাস কর একথা।

 ভাগো এখান থেকে—পুলিসেরা ভিড় ঠেলতে ঠেলতে চেঁচাতে লাগলো।

 বেঞ্চির ওপর উঠে নাও।

 দরকার নেই—এখনই গ্রেপ্তার হবো।

 তাড়াতাড়ি ব’লে যাও। এসে পড়লো ব’লে।

 মা বলেন, সেই সত্য প্রচারকদের, সর্বরিক্ত-দরিদ্রের বান্ধবদের পাশে গিয়ে দাঁড়াও···আপোস করোনা, বন্ধুগণ, আপোস করোনা। শক্তি-গর্বীদের কাছে মাথা নুয়িয়োনা। ওঠো, জাগো মজুর ভাইসব, এ জীবনের নিয়ন্তা তোমরা, তোমাদের শ্রমের দৌলতে সবাই বেঁচে আছে, অথচ তোমরাই বন্দী। হাত তোমাদের খোলা। শুধু কাজ করিয়ে নেওয়ার জন্য। চেয়ে দেখো, তোমাদের চারিদিকে বন্ধন। ওরা তোমাদের খুন করছে, তোমাদের সর্বস্ব লুণ্ঠন করছে।···আজ মন-প্রাণ একীভূত

২০১