পাতা:মা - ম্যাক্সিম গোর্কি - বিমল সেন.pdf/২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মা

তারা এই ভয়কে ষোলো-আনা কাজে লাগায়···আমাদের উত্তরোত্তর ভীত করে তোলে। শোন, মা···মানুষ যতদিন ভয়ে কাঁপবে, ততদিন তাকে পচে পচে মরতে হবে···আমাদের সাহসী হ’তে হবে, আজ সেদিন এসেছে।

 তারপর অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে বললো, ভয় খাও, আর যা’ কর, তারা আসবেই।

 মা করুণভাবে বললেন, রাগ করিস্‌নি বাবা, কি করে ভয় না পেয়ে থাকি বল···চিরটা জনম আমার ভয়ে ভয়েই কেটেছে।

 ছেলে আরও নরম হ’য়ে বলে, ক্ষমা কর, মা, কিন্তু আমি বন্দোবস্ত বদলাতে পারব না।


 তিনদিন ধ’রে মার প্রাণে কাঁপুনি···ভাবেন, যারা আসছে বাড়িতে, না জানি তারা কী ভয়ংকর লোক···তাঁর গা শিউরে ওঠে।

 শেষে শনিবার এলো। রাত্রে পেভেল মাকে বললো, মা, আমি একটু কাজে বেরুচ্ছি, ওরা এলে বসিয়ো, বলো, এক্ষুণি আসছি। আর ভয় খেয়ো না···তারাও অন্য সবারই মতো মানুষ।

 মা প্রায় মূর্ছিত হয়ে চেয়ারে বসে পড়েন।


 বাইরে জমাট-বাঁধা অন্ধকার। কে যেন তার মধ্য দিয়ে শিষ দিতে দিতে এগোচ্ছে···শব্দ নিকট থেকে নিকটতর হ’য়ে জানালার কাছে এসে পড়লো···পায়ের শব্দ শোনা গেলো···মা ভীত চকিত হয়ে উঠে দাঁড়ালেন···দোর খুলে গেলো···প্রথমে দেখা গেলো, একটি প্রকাণ্ড হ্যাট, তলার অবিন্যস্ত কেশগুচ্ছ···তারপরে ঢুকলো একটি ক্ষীণ আনতদেহ···

২৪