উঠলো···মনে হল, এ যেন তারই হারিয়ে-যাওয়া মেয়ে আবার তার কোলে ফিরে এসেছে।
এর পরে এলো নিকোলাই—মজুর-পল্লির নামজাদা চোর বৃদ্ধ দানিয়েলের ছেলে। মা অবাক হ’য়ে বললেন, তু্মি, এখানে?
পেভেল বাড়ি আছে?
না।
নিকোলাই তখন ঘরের দিকে চেয়ে বললো, সুপ্রভাত কমরেড।
ন্যাটাশা হাসিমুখে নিকোলাইর করমর্দন করলেন।
মা অবাক হয়ে গেলেন, নিকোলাইও তবে এই দলে আছে।
এর পরে এলো ইয়োকোভ—কারখানার পাহারাদার শোমোভের ছেলে। তার সঙ্গে আর একটি ছেলে—সেও অপরিচিত কিন্তু ভীষণ-দর্শন নয়।
সব্বার শেষে এলো পেভেল—কারখানার দু’জন মজুরকে সঙ্গে নিয়ে।
মা ছেলেকে প্রশ্ন করলেন ধীরে ধীরে, এরাই কি তোর সেই বে-আইনী সভার লোক?
হাঁ, বলে পেভেল কমরেডদের কাছে চলে গেলো।
মা মনে মনে বলতে লাগলেন, বলে কি, এরা তো দুধের ছেলে!
ঘরের মধ্যে ততক্ষণ মজলিস বসে গেছে। আগন্তুকদল টেবিলের চারদিকে উন্মুখ হয়ে বসেছে। এককোনে ল্যাম্পের নীচে ন্যাটাশা একখানা বই খুলে পড়ছে, ‘মানুষ কেন এমন হীনভাবে জীবন-যাপন করে বুঝতে হলে···’
—‘এবং মানুষ কেন এত হীন হয় বুঝতে হলে:’ এণ্ড্রি জুড়ে দিলো।
২৬