‘আগে দেখতে হবে, কেমন ভাবে তারা জীবন-যাত্রা শুরু করেছিল···’
বই থেকে ন্যাটাশা সেই আদিম অসভ্যদের জীবন-যাত্রা প্রণালী, তাদের গুহাবাস, পাথরের অস্ত্রে শিকার প্রভৃতির সরল বর্ণনা পড়ে যেতে লাগলো। মা ভাবলেন, এতো বুনো লোকদের গল্প, এতে আবার বে-আইনী কি আছে!
হঠাৎ নিকোলাইর অসন্তুষ্টি-ভরা কণ্ঠ বেজে উঠলো, ওসব যাক। মানুষ কেমন ক’রে জীবন কাটিয়েছে তা শুনতে চাইনা···শুনতে চাই, মানুষের কি রকম ভাবে বাঁচা উচিত।
‘হাঁ, তাইতো।’—লাল-চুলওয়ালা একটি লোক সায় দিলো।
ইয়াকোভ প্রতিবাদ ক’রে বললো, যদি আমাদের সামনে এগোতে হয়, তবে আমাদের সব-কিছু জানতে হবে।
‘নিশ্চয়ই’—কোঁকড়া চুলওয়ালা একজন ইয়াকোভকে সমর্থন করলো।
পলকে বিষম তর্কাতর্কি শুরু হ’ল, কিন্তু অশ্লীল অন্যায় ভাষা কারু মুখ দিয়ে বেরুচ্ছে না। মা ভাবলেন, ওই মেয়েটি আছে ব’লেই ওরা সামলে চলছে।
সহসা ন্যাটাশা ব’লে উঠলো, থামো, শোন ভাইসব।
পলকে সবাই নীরব, ন্যাটাশার দিকে নিবদ্ধ-চক্ষু।
ন্যাটাশা বললো, যারা বলে আমাদের সব-কিছুই জানা উচিত, তারাই ঠিক বলছে। যুক্তির দীপ-শিখায় চলার পথ আলোকিত ক’রে নিতে হবে আমাদের—অন্ধকারে যারা আছে, তারা যাতে আমাদের দেখতে পায়। প্রত্যেকটি প্রশ্নের সাধু এবং সত্য জবাব দেওয়ার মতো সামর্থ্য আমাদের থাকা চাই। যা কিছু সত্য এবং যা-কিছু মিথ্যা,···সবার সঙ্গেই আমাদের পরিচয় থাকা দরকার।
২৭