মার প্রাণ পলকে ভারি হয়ে উঠলো, বললেন, শহরে যাচ্ছে?
হাঁ।
ভয় করে না ওর?
না।
কেন গেলো? এখানে তো থাকতে পারতো, আমার সঙ্গে শুতো।
তা’ হয় না। কাল সকালে উঠে সবাই দেখতো। আমরা তা চাই না, ও-ও চায় না।
মার মনে সেই আগেকার উদ্বেগ জেগে উঠলো, বললেন, কিন্তু আমিতো বুঝতে পাচ্ছিনা পেভেল, এর ভিতর বিপজ্জনক বা অন্যায় কি আছে? তোরা তো আর খারাপ কিছু কচ্ছিস না।
শান্তভাবে মায়ের দিকে চেয়ে স্থির কণ্ঠে পেভেল জবাব দিলো, আমরা যা করছি, তাতে খারাপ কিছু নেই, খারাপ কিছু থাকবেও না; কিন্তু তবু আমাদের জেলে যেতে হ’বে।
মার হাত কেঁপে উঠলো। বসা গলায় তিনি বললেন, ভগবান তোমাদের যে ক’রে হ’ক রক্ষা করবেনই।
না, মা, তোমায় আমি মিথ্যা আশ্বাস দিতে পারি না; রক্ষা আমরা কিছুতেই পাবোনা।···
মাকে শুতে ব’লে ছেলে চ'লে গেলো নিজের কামরায়।
মা একা জানালার কাছটিতে এসে বাইরের দিকে চেয়ে রইলেন। তুষারে-ছাওয়া পথ, ঝড়ো হাওয়ার অবিরাম মাতামাতি···তারপরেই একটা খোলা মাঠ···সাদা তুষার রাশি,···তার ওপর দিয়ে ছুটে যাচ্ছে শিমুল তুলোর মতো ঘন ধারায়···বাতাস প্রলয়-বাঁশি বাজিয়ে যায়···মা দেখলেন, তারই মধ্য দিয়ে একা চলেছে ন্যাটাশা···তার পোশাক
২৯