পাতা:মা - ম্যাক্সিম গোর্কি - বিমল সেন.pdf/৩

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।

 ম্যাক্‌সিম গৰ্কীর মা’কে আজ বাঙালীর হাতে দেবার লগ্ন এসেছে। বহু আন্দোলন উত্তেজনার পর বাঙালী আজ বুঝ্‌তে পেরেছে, জাতির চরম দুর্ভাগ্য তার ধন-বৈষম্য। একদল খাটে আর উপােষ করে, আর একদল খায় এবং খাটায়। একদল ন্যায্য প্রাপ্য হ’তে বঞ্চিত—সে বঞ্চনাকৌশলের নাম আইন; আর একদল চাহিদার বেশি গ্রাস ক’রে থাকে—সে বুভুক্ষার যুক্তি আভিজাত্য! শুধু রুশে নয়, সর্বদেশেই এবং বাঙলায়ও এই অবস্থা। চাই আজ মার্ক্‌সের নব-নীতি,—চাই আজ মজুর-বিপ্লব।

 সেই বিপ্লবেরই অগ্রদূত গৰ্কীর ‘মা’। মা বিপ্লবীদের অগ্নিবেদ। বিপ্লব-আন্দোলনের সমস্ত মনস্তত্ব এতে ফুটে উঠেছে নিখুঁতভাবে এবং অগ্নি-বর্ষী ভাষায়। সমস্ত দেশের সমস্ত বিপ্লবী যেন মা’র মধ্যে এসে ঘনীভূত হ’য়েছে। বছরের পর বছর ‘মা’ সকল দেশের—বিশেষ করে, বাঙ্‌লার বিপ্লবীদের অনুপ্রাণিত ক’রে এসেছে। ‘মা’ পড়লেই এই কথাটা সবার আগে মনে হবে।

 কিন্তু এই নব-নীতির পথ কোনাে দেশেই সহজ হয় নি। বহু দ্বিধা, বহু সংস্কার, বহু নির্যাতন, বহু নিরাশায় দুল্‌তে দুল্‌তে একে এগােতে হয়েছে। সাম্‌নে দাঁড়িয়েছে এর পর্বতােপম দুর্লঙ্ঘ্য বাধা; এ হয়তাে থম্‌কে দাঁড়িয়েছে কিন্তু পিছােয়নি, বাধা বিদীর্ণ ক’রে দেশের অন্তরে প্রবেশ ক’রেছে। গর্কী ‘মা’র চরিত্রে এই রুশ-জননীর অগ্রগতিকে