মদ খাচ্ছিস না, অথচ সন্দেহজনক মেয়েদের সঙ্গে মিশছিস···তাই পাড়ার সব, বিশেষত, মেয়েরাও তোদের বিরুদ্ধে যাচ্ছে।
পেভেল বিরক্ত হ’য়ে বললো, বেশ, যাক।
এণ্ড্রি দীর্ঘনিশ্বাস ত্যাগ করে বললো, আস্তাকুঁড়ে সব-কিছুতেই পচা গন্ধ। বোকা মেয়েগুলোকে তুমি কেন বুঝিয়ে দিলে না, মা, যে, বিয়ে কী চিজ। তা’হলে তারা হাড়িকাঠে গলা বাড়িয়ে দেবার জন্য এতো ব্যস্ত হ’য়ে উঠতো না।
মা বললেন, তারা সবই দেখে, বাবা, সবই জানে, জানে তাদের ভবিষ্যত কতো দুঃখময়! কিন্তু কি করতে পারে তারা? আর কোন পথ নেই তাদের।
পেভেল বললো, বুদ্ধিই তাদের মোটা, নইলে পথ তারা খুঁজে পেতো।
মা বললেন, তোরাই কেন তাদের বুদ্ধি শোধরাস না, বাবা? বুদ্ধিমতী যারা তাদের ডেকে দুটো কথা বল্না!
কিছু হ’বে না তাতে—পেভেল জবাব দিল।
এণ্ড্রি বললো, আচ্ছা, চেষ্টা ক’রেই দেখা যাক না।
খানিকক্ষণ চুপ থেকে পেভেল বললো, হাঁ, আজ কাজের নাম ক’রে মেয়েদের সঙ্গে মিশবে, কাল হাত ধরাধরি ক’রে জোড়ায় জোড়ায় বেড়াবে, তারপর হবে বিয়ে। বাস্···সব শেষ জীবনের।
মা ছেলের এই বিবাহ-বিমুখতার চিন্তিত হ’য়ে উঠলেন।
একদিন মা শুয়েছেন ঘুমুবেন ব’লে—ও কামরায় এণ্ডি-পেভেল কি কথা বলছে শুনতে পেলেন।
এণ্ডি বলছে, তুমি জানো ন্যাটাশাকে আমি পছন্দ করি?
৩৭