পাতা:মা - ম্যাক্সিম গোর্কি - বিমল সেন.pdf/৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মা

বেশ, তাই হবে। এই পথেই চলবো আমরা, কিন্তু পেভেল তোমার যখন এদিন আসবে তখন তোমার পক্ষে শক্ত হ’বে এ আদর্শ।

 শক্ত এখনই হয়েছে, এণ্ড্রি।

 বলো কি!

 হ্যাঁ!

এণ্ড্রি চুপ করে গেলো, বুঝলো পেভেলও কোন মেয়েকে ভালোবেসেছে···কিন্তু ব্রতের খাতিরে প্রেমকে সে দমন করে রেখেছে। পেভেল যা’ পেরেছে, সে কেন তা’ পারবে না! নিশ্চয়ই পারবে।


 পল্লিময় হুলস্থুলু—সোসিয়ালিস্টরা লাল-কালিতে-ছাপা ইস্তাহার ছড়াচ্ছে মজুরদের মধ্যে। তাতে কারখানার মজুরদের শোচনীয় অবস্থা চোখে আঙুল দিয়ে দেখানোর মতো ক’রে লেখা, কোথায় কোন্ ধর্মঘট হচ্ছে তার ফিরিস্তি,···সর্বশেষে মজুদের সংঘবদ্ধ হ’য়ে স্বার্থরক্ষাকরে লড়াই করবার জন্যে উত্তেজনাপূর্ণ আবেদন।

 মোটা মাইনে যারা পায়, তারা সোশিয়ালিস্টদের গাল দিয়ে ইস্তাহার নিয়ে কর্তাদের কাছে জমা দেয়। তরুণরা সাগ্রহে প্রত্যেকটি কথা গেলে, উত্তেজনার চঞ্চল হ’য়ে বলে, সত্যিই তো তাই! কিন্তু বেশির ভাগই শ্রমক্লান্ত—নিরাশ হৃদয়। ঘাড় নেড়ে বলে, হুজুগ, হুজুগ—এতে কিছু হ’বে না, হবার জো নেই। সে যা’ বলুক সবার প্রাণেই কিন্তু একটা চাঞ্চল্য···একদিন যদি দেরি হ’ল ইস্তাহার বের হ’তে অমনি আলোচনা আজো বেরুলোনা, ছাপা বন্ধ হয়ে গেলো বুঝি! তারপর সোমবারে ইস্তাহার বেরুলে আবার আন্দোলন।

৪০