এণ্ড্রি পেভেল হেসে উঠলো...মা যেন এতে আশ্বস্ত হলেন। পেভেল খানকয়েক বই বেছে নিয়ে উঠানে লুকিয়ে রাখলো। এণ্ড্রি মাকে সাহস দেবার জন্য গল্প জুড়ে দিলো, কিছু ভয় নেই, মা। ওদের জন্য আমার আপসোস হয়, মা, ইয়া হোমরা চোমরা প্রবীণ অফিসার, তলোয়ার ঝুলিয়ে, ঘোড়া ছুটিয়ে এসে কাজটা কি করেন? এ কোণ খোঁজেন, ও কোণ খোঁজেন, বিছানাটা ওলটান, মুখে কালি-ঝুল মাখেন...তারপর বিজয়ী বীরের মতো চ’লে যান। একবার ওদের পাল্লায় পড়েছিলুম, মা। জিনিসপত্র তছনছ ক'রে আমার ধ’রে নিয়ে গেলো। তারপর জেলে রাখলো চার মাস। সে কী জীবন...কেবল বসে থাকা, আল্সে হয়ে...তারপর ডেকে রাস্তা দিয়ে নিয়ে গেলো। দু’দিকে পাহারা...আদালতে গেলুম...যা-তা জিগ্যেস করলো...তারপর আবার জেলে পাঠালো। তারপর এ জেল থেক সে জেল, এখান থেকে সেখানে। এমনি ধারা। কি করবে? মাইনে খায়, বেচারীদের যা হ’ক একটা-কিছু ক’রে দেখাতে হবে তো!
মার মনে যতটুকু ভয় জমে উঠেছিল তা’ নিঃশেষে মিলিয়ে গলো।
—ছয়—
পুলিস এলো একমাস পরে অপ্রত্যাশিতভাবে। দুপুর রাত, নিকোলাই, এণ্ড্রি, পেভেল গল্প করছে...মা অর্ধ-নিদ্রিতা।
এণ্ড্রি কি কাজে রান্নাঘরে গিয়েই হঠাৎ ফিরে এলো ব্যতিব্যস্ত হ’য়ে, পুলিসের সাড়া পাচ্ছি।
৪২