ঢুকলেন। হাত ঈষৎ দুলিয়ে, লোক সরিয়ে পথ ক’রে নিচ্ছেন তিনি; কিন্তু কাউকে স্পর্শ করছেন না। লম্বা-চওড়া শরীর, কুঞ্চিত চোখ, শাসনকর্তাসুলভ তীক্ষ্ণ-সন্ধানী দৃষ্টি বিস্তার করে তিনি মজুরদের মুখ দেখে নিচ্ছেন। মজুররা সসম্ভ্রমে টুপি খুলে হাতে নিচ্ছে, তিনি তাদের অভিবাদন যেন অগ্রাহ্য ক’রে চলে যাচ্ছেন। তার উপস্থিতিতে জনতা চুপ করে গেলো, ঘাবড়ে গেলো। সবার মুখে উদ্বেগের হাসি, কণ্ঠে অস্ফুট ধ্বনি,—শিশু যেন তার ছেলেমির জন্য অনুতপ্ত। ম্যানেজার সেই লৌহস্তূপের ওপর পেভেল, শিজভের সামনে দাঁড়িয়ে নিস্তব্ধ জনতার দিকে চেয়ে বললেন, এসব হল্লার মানে কি? কাজ ফেলে এসেছ কেন?
সব চুপ-চাপ। কয়েক সেকেণ্ড গেলো, কোন জবাব নেই। শিজভ মাথা নীচু করে দাঁড়ালো।
ম্যানেজার বললে, যা’ জিগ্যেস করছি তার জবাব দাও।
পেভেল তার সামনে এগিয়ে গিয়ে শিজভ্, রাইবিনকে দেখিয়ে বললো, আমরা এই তিন জন শ্রমিক-বন্ধুদের দ্বারা নির্বাচিত হয়েছি, আপনাকে সেই কোপেক-ট্যাক্সটা রদ করতে বলার জন্য।
কেন? পেভেলের দিকে না চেয়ে ম্যানেজার প্রশ্ন করলো।
পেভেল বেশ জোরের সঙ্গেই বললো, এরকম ট্যাক্স আমরা ন্যায়সঙ্গত বলে মনে করিনা।
ওঃ, তাহলে আমার জলা সাফ করবার প্রস্তাবটায় তুমি দেখতে পাচ্ছ শুধুই মজুরদের শোষণ করবার ফন্দি,—তাদের মঙ্গলেচ্ছা নয়। এই তো?
হাঁ।
আর, তুমি?—ম্যানেজার রাইবিনকে জিগ্যেস করলেন।
আমারো ঐ একই কথা!
৫৫