এলো। মা উদ্গ্রীব হ’য়ে রইলেন, আইভানোভিচ কখন আসে ইস্তাহার নিয়ে।
হঠাৎ একসময়ে দ্বারে মৃদু করাঘাত হ’ল। মা দ্রুতগতিতে দোর খুলে দিয়ে দেখেন শশেংকা,—দেখেই মার মনে হ’ল, শশেংকা যেন অস্বাভাবিক রকমের মোটা হ’য়ে পড়েছে। বললেন, এতোদিন এদিক মাড়াওনি যে, ব্যাপার কি?
শশেংকা হেসে বললো, জেলে ছিলুম যে, মা···পোশাকটা বদলাতে হ’বে আইভানোভিচ আসার আগে।
তাইতো, একেবারে নেয়ে উঠেছ যে।
ইস্তাহারগুলো এনেছি।
দাও, আমার কাছে দাও,—মা অধীর আগ্রহে ব’লে উঠলেন।
দিচ্ছি—ব’লে শশেংকা গায়ের চাদরটা খুলে ঝাড়া দিলো, আর মায়ের সামনে পাতা-ঝরার মতো পড়তে লাগলো ভূঁয়ে একরাশি পাতলা কাগজের পার্শ্বেল। মা হেসে তা’ কুড়িয়ে নিলেন, বললেন, তাইতো অবাক্ হচ্ছিলুম, এতো মোটা হ’লে কি ক’রে! বড় কম তো আনোনি? এসেছ কি ক’রে—হেঁটে?
হাঁ।
মা চেয়ে দেখলেন, সেই অস্বাভাবিক মোটা মেয়েটি আবার আগের মতো অসামান্য সুন্দরী হয়ে পড়েছে। কিন্তু তার চোখের নীচে কালি। বললেন, এতদিন জেলে ছিলে মা, এবার কোথায় তুমি একটু বিশ্রাম নেবে, না, সাত মাইল এই মোট ব’য়ে নিয়ে এসেছো।
এ তো করতেই হ’বে, মা।
সে যাক—পেভেলের কথা বল। সে ঠিক আছে তো? ভয় খায়নি তো?
৬৩