আমি! আমি কী করতে পারব, এণ্ড্রি!
কি করতে পারবে না, মা? কেন পারবে না? বর্ষা-ধারার মতো আমাদের কাজ—এর প্রত্যেকটি ফোঁটা পরিস্ফুট করে বীজকে। যখন তুমি পড়তে শিখবে, মা, তখন···হাঁ, তোমায় শিখতেই হবে···ভাবো দেখি, পেভেল ফিরে এসে কতটা অবাক্ হবে!
মা মনোযোগী ছাত্রীর মতো বই নিয়ে উঠে পড়ে লেগে গেলেন।
—তেরো—
দরজায় শব্দ হতে মা খুলে দিয়ে দেখেন রাইবিন ৷
রাইবিন বললো, তুমি একা, মা?
হাঁ।
তোমাকে একটা কথা বলতে চাই। আমার একটা থিওরী আছে।
মা উদ্বেগে, আশঙ্কায়, রাইবিন কি যেন বলে ভেবে তার দিকে চাইলেন।
রাইবিন বললো, সব কিছুর মুলে চাই টাকা। এই ইস্তাহারগুলোর টাকা জোগায় কে?
মা বললেন, জানিনে তো!
রাইবিন বললো, তারপর, দ্বিতীয় জিগ্যাস্য, এসব লেখে কারা? শিক্ষিত লোকেরা, কর্তারা। কর্তারা এই সব বই লিখে ছড়ায় এবং এই বইয়েতে তাদেরই বিরুদ্ধে কথা থাকে। এখন আমায় বল, মা, কেন,
৭৪