মা বলেন, তুমি মারা পড়বে, রাইবিন।
রাইবিনের কালো গভীর চোখ দু’টো উজ্জ্বল হ’য়ে উঠলো। মার দিকে চেয়ে বললো, খৃস্ট বীজের সম্বন্ধে কি বলেছিলেন জানো: ‘তুমি মরবেনা, নতুন অঙ্কুরে জেগে উঠবে।’ আমি বিশ্বাস করিনে, আমি এতো সহজে মরবো। আমি বুদ্ধি রাখি, সোজা পথে চলি; কাজেই গতি আমার অপ্রতিহত। শুধু জানিনে, কেন আমার প্রাণে ব্যথা জাগে। হাঁ···আমি যাবো···তাড়িখানায় যাবো···লোকদের কাছে যাবো।···কিন্তু এণ্ড্রি কই? এখনো আসছেনা যে! এরি মধ্যে আবার কাজে লেগেছে বুঝি!
হাঁ। জেল থেকে বেরুতে না বেরুতেই ওদের কাজ।
এইতো চাই। তাকে আমার কথা বোলো।
বলবো।
এবার উঠি।
কারখানার কাজ ছাড়বে কবে?
ছেড়ে দিয়েছি তো!
যাচ্ছ কখন?
কাল ভোরে।
রাইবিন চলে গেলো। মা একা বসে রইলেন। চারদিকে ঘন অন্ধকার। তার দিকে চেয়ে মা শিউরে উঠলেন, এই অন্ধকারের জীব আমি চিরজীবন।···
এণ্ড্রি এলে মা রাইবিনের কথা বললেন। শুনে এণ্ড্রি নেচে উঠলো, যাচ্ছে?—চমৎকার! সত্যের ডঙ্কা বাজিয়ে যাক সে গ্রামে গ্রামে, লোকদের জাগিয়ে তুলুক,—আমাদের সঙ্গে এখানে থাকা তার পক্ষে কষ্টকর।
৭৭