এটা জানি যে তার আগে আমাদের বহু প্রাণ আহুতি দিতে হবে, জানি যে, হাতের ছুরি শানাবার আগে শানাতে হবে মগজের বুদ্ধিকে।
এবং প্রাণকে—নিকোলাই যোগ করে।
হাঁ, প্রাণকেও।
কিছু পরে নিকোলাই উঠে শুতে গেলো। মা খানিকক্ষণ চুপ করে থেকে বললেন, ওর মনের মধ্যে কী একটা ভীষণ চক্রান্ত ঘুরছে, এণ্ড্রি।
হাঁ, মা, ওকে বোঝা বড়ো শক্ত, ব’লে এণ্ড্রিও বিছানায় গেলো। শুনতে পেলো, মা বলছেন, ভগবন্, পৃথিবীর যত মানুষ সবাই তো দেখছি কাঁদছে নিজ নিজ ব্যথায়। কোথায় মানুষ সুখী, কোথায় মানুষ আনন্দিত?
এণ্ড্রি বললো, আসচে, মা, সে শুভদিন আসচে, যে-দিন মানুষ সুখী হবে, আনন্দিত হবে।···
—চোদ্দ—
জীবন বয়ে চলে এমনি দ্রুত তালে। নিয়মিতভাবে মার ওখানে কর্মীরা মেলে, মতলব আঁটে, কাজ করে। মা কারখানায় ইস্তাহার ছড়ান,—ইস্তাহার বেরুবার পরদিন রক্ষীরা মাকে পরীক্ষা করে বিফলকাম হয়। মার আরব্ধ-ব্রতের প্রতি নিষ্ঠা বাড়ে।
নিকোলাইর কারখানার কাজ গেছে, এখন কাজ করে এক কাঠের গোলায়, আর রোজ মার ওখানে মজলিসে যোগ দেয়। সবাই চলে
৮৬