পাতা:মা - ম্যাক্সিম গোর্কি - বিমল সেন.pdf/৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মা

কথা বলতে লাগলো। মা খাবার নিয়ে এলেন। খেতে খেতে এণ্ড্রি রাইবিনের কথা তুললো। পেভেল বললো, আমি থাকলে তাকে যেতে দিতুম না। কি সম্বল ক’রে বেরুলো সে?—অসন্তোষ এবং অজ্ঞানান্ধকার।

 এণ্ড্রি হেসে বলে, চল্লিশ বছর অবিরত সংগ্রাম করার ফলে অন্তর যার ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে তাকে বাগ মানানো সোজা নয়, বন্ধু।

 পেভেল কঠিন সুরে বললো, কেন? তুমি কি মনে কর, জ্ঞান মানুষের মনের পুঞ্জীভূত ভ্রান্তি দূর করতে পারে না?

 এণ্ড্রি অর্থপূর্ণ ভাষায় বললো, একলাফে একেবারে আকাশে উঠতে যেয়ো না, পেভেল, দুর্গের চূড়ায় ঘা খেয়ে ডানা ভেঙে যাবে।

 তারপর চললো দুই বন্ধুতে বিতর্ক। মা তার এক বর্ণও বুঝতে পারলেন না, শুধু বুঝলেন, পেতেল চাষীদের কথা ভেবে তাদের জন্য নির্ধারিত পন্থার একচুল এদিক-ওদিক যেতে রাজি নয়। এণ্ড্রি চাষীদের পক্ষে, বলে, তাদেরও শিখিয়ে পড়িয়ে নিতে হ’বে। এর মধ্যে এণ্ড্রির মতটাই মার মনে লাগে। এমনি করে খাওয়া শেষ হয়, দিন কাটে।



—পনেরো—

 মে মাসে মজুরদের একটা উৎসবের আয়োজন হ’ল। বন্দী মজুররা সবাই জেল থেকে এসেছে। উৎসবের ধরণ সম্বন্ধে দু’দলের দু’মত। একদল বলে, সশস্ত্র হ’য়ে মজুরদল বেরিয়ে পড়ুক; আর একদল বলে,

৮৮