পাতা:মা - ম্যাক্সিম গোর্কি - বিমল সেন.pdf/৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মা

ধরণীও সে আহ্বানে সাড়া দেয়, কেঁপে কেঁপে ওঠে, আর মানুষের হৃদয়াকাশে উদিত নবারুণকে সৎবর্ধিত করে।···

 পেভেল তাকে কি বলতে যাচ্ছিল, মা বাধা দিয়ে বললেন, ওর কথা শেষ করতে দে।

 দীপ্তোজ্জ্বল চক্ষু তুলে এণ্ড্রি বললো, কিন্তু জানো, এখনো অনেক দুঃখ সইতে হবে মানুষকে, লোভের হাতে এখনো তার অনেক রক্তপাত হ’বে,···কিন্তু আমাদের সমস্ত দুঃখ, সমস্ত রক্তও কম মুল্যবান্ মনে হবে তার কাছে, যা’ আমরা এরি মধ্যে পেয়েছি উদ্বেল বক্ষে, চঞ্চল মনে, শিরায় শিরায়। তারা যেমন সোনার আলোকে ধনী, আমিও তেমনি ধনে ধনী হয়েছি। সমস্ত বোঝা আমি বইব, সমস্ত দুঃখ আমি সইব; কারণ প্রাণে আমার সেই আনন্দের সাড়া পেয়েছি, যা’ কেউ কোনো-কিছুতে চেপে রাখতে পারে না। এই আনন্দের মধ্যে নিখিল শক্তি নিহিত।

 নব-জীবনকে এমনিভাবে অভিনন্দিত করতে লাগলো তারা।


—ষোল—

 পরদিন ভোর হ’তে না হ’তেই কর্সুনোভা ছুটে এলো, শীগ্‌গির এসো, আইছেকে কে খুন করেছে।

 শুনেই মার অন্তরাত্মা কেঁপে উঠলো। আততায়ী ব’লে চকিতে একজনকে তিনি সন্দেহ করলেন। বললেন—কে খুন করলো?

 খুনী কি এখনো সেখানে ব’সে আছে?

৯৪