পাতা:মিঠেকড়া - সুকান্ত ভট্টাচার্য্য.pdf/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

শিক্ষক বলে, শােন সব এই দিকে,
চালাকি করাে না, ভাল কথা যাও শিখে
এদের কথাতে ভরসা হয় না তবু
সরে এস তবে, দেখাে সত্যি কে প্রভু।
ফ্যাকাশে শিশুরা, মুখে শান্তির ভীতি,
আগের মতই মেনে চলে সব নীতি।
যদি মজুরেরা কখনাে লড়তে চায়
পুলিশ প্রহারে জেলে টেনে নিয়ে যায়।
মজুরের শেষ লড়াইয়ের নেতা যতত
এলােমেলাে সব মিলায় ইতস্তত
কারা-প্রাচীরের অন্ধকারের পাশে।
সেখানেও স্বাধীনতার বাতা আসে।
রাশিয়াই, শুধু রাশিয়া মহান দেশ,
যেখানে হয়েছে গোলামির দিন শেষ;
রাশিয়া, যেখানে মজুরের আজ জয়,
লেনিন গড়েছে রাশিয়া! কী বিস্ময়!
রাশিয়া, যেখানে ন্যায়ের রাজ্য স্থায়ী,
নিষ্ঠুর ‘জার’ যেই দেশে ধরাশায়ী,
সােভিয়েট-‘তারা যেখানে দিচ্ছে আলাে,
প্রিয়তম সেই মজুরের দেশ ভাল।
মজুরের দেশ, কল-কারখানা,
প্রাসাদ, নগর, গ্রাম,
মজুরের খাওয়া, মজুরের হাওয়া,
শুধু মজুরের নাম।
মজুরের ছুটি, বিশ্রাম আর
গরমে সাগর-ধার,

৩৯