একটা বলিতে যাইতেছিল—এমন সময় হঠাৎ হৈ হৈ শব্দ পড়িয়া গেল, যাহাৱা উঁচু ঢিবিতে উঠিয়া দেখিতেছিল—তাহা বলিয়া উঠিল—“ঐ যে ঐ ‘তানা’ আসিছে রে”— সকলের আহ্লাদের চীৎকার ধ্বনির মধ্যে একজন ধনুর্দ্ধারী যুবক দ্রুতপদে আসিয়া দাঁড়াইল।
দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ।
নবাগত ধনুর্দ্ধারীর বেশভূষা ভীলদিগের মত কিন্তু তাহাকে দেখিতে ভীলদিগের মত নহে। তাহার বর্ণ গৌর, দেহ সুদীর্ঘ বলিষ্ঠ, প্রশস্ত বক্ষে ও জমাট মাংসপেশীযুক্ত হস্তে যেন বজ্রবল নিহিত, লৌহ গোলক তাহাতে পড়িলেও যেন চুরমার হইয়া যায়, অথচ সেই বিপুল বলশালী শরীরে ভীলদিগের মত একটা কঠোর কাঠিন্য ভাব নাই, তাহা সুঠাম সুগঠন। মাথার কাল কাল লম্বা লম্বা চুলের মধ্যে মুখখানি হাসি হাসি বালকের মত, ওষ্ঠাধরে এখনো শত্রুর রেখা পড়ে নাই, অথচ প্রশস্ত নয়নের দৃষ্টিতে এমন একটা প্রভুত্ব অঙ্কিত আছে, সমস্ত মূর্ত্তিতে এমন একটা বীরভাব ব্যাপ্ত হইয়া আছে—ষে তাহাকে দেখিলে বালক মনে হয় না, তাই আমরা তাহাকে যুবক বলি সম্বোধন করিয়াছি, কিন্তু বয়সে সে চতুর্দশ বর্ষের বালক মাত্র।
ধনুকছিলাস্কন্ধ, বাণফলক-হস্ত, কৌপীনধারী যুবক—মুক্তপত্রে মুক্তমস্তকে মুক্তগাত্রে স্বর্ণ-কান্তিময় দেহের বীর-