পাতা:মিবার-গৌরব-কথা - হেমলতা দেবী.pdf/১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মিবার-গৌরব-কথা

তোমার পাপ জিহ্বা অনলে আহতি দিতাম। যাও তোমার মহিমান্বিত সম্রাটকে বল গিয়া, যতক্ষণ চিতোরে একটী মাত্র বীর জীবিত থাকিবে, ততক্ষণ চিতোরের দ্বার আবদ্ধ রহিবে।” রণাভিনয় উভয় পক্ষে ভীষণ মূর্ত্তি ধারণ করিল। দীর্থ অবরোধ সহ্য করিয়া চিতোরবাসিগণ দুঃখ দুর্দ্দশার চরমসীমায় উপনীত হইল। আলাউদ্দীনের ভ্রান্তি তখনও বিদুরিত হয় নাই; তিনি ক্রুরবুদ্ধির আশ্রয় লইলেন। বিনীতভাবে দূতমুখে নিরেদন করিলেন, “পদ্মিনীলাভের আমার কোন ইচ্ছাই নাই —কেবল মাত্র তাঁহার রূপের খ্যাতি শুনিয়া একবার মাত্র দর্শন করিতে কৌতুহল জন্মিয়াছে। মুকুরে একবার মাত্র তাঁহার প্রতিমৃত্তি দর্শন করিয়া আপুকাম হইয়া স্বরাজ্যে প্রত্যাবর্ত্তন করিব। আর চিতোরে পদার্পন করিব না।” রাজপুত বীরগণ এই অলীক বাক্যে ভ্রান্ত হইলেন। দুঃখ দুর্দ্দশারও একশেষ হইয়াছে—আর অধিকদিন এইরূপ অবস্থায় জীবনধারণ অসম্ভব। এই প্রস্তাবে দুর্দ্দশাপন্ন রাজপুত বীরগণ কিঞ্চিৎ বিচলিত হইলেন। মুকুরে প্রতিচ্ছায়া দর্শন করিলে রাজপুং কুল লক্ষ্মীর অবমাননার সম্ভাবনা নাই ইহাই সিদ্ধান্ত হইল। ভীমসিংহের বীরহৃদয় সহজে এ প্রস্তাবে সম্মত