পাতা:মিবার-গৌরব-কথা - হেমলতা দেবী.pdf/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১০
মিবার-গৌরব-কথা

রাওয়ের বংশের প্রদীপ চির-নির্ব্বাপিত হইবে। মিবারের রাণার নাম এবার ভারত ইতিহাস হইতে মুছিয়া যাইবে।” এই সকল বিষম চিন্তায় রাণা লক্ষণ সিংহ একেবারে অবসন্ন হইয়া পড়িলেন। তিনি আহার নিদ্রা একেবারে ত্যাগ করিলেন। দিবা রাত্র উন্মাদের ন্যায় থাকিতেন, “হায় কি হইবে! চিতোরের অধিষ্ঠাত্রী দেবী না জানি কি অপরাধে আমার প্রতি বিমুখ হইলেন। চিতোরের বীরগণ অতুল বীরত্ব দেখাইয়া একে একে সকলে ধরাশায়ী হইলেন, যুদ্ধ করিতে আর কেহও রহিল না। তবুও দেবী প্রসন্ন হইলেন না। হায়। কি অপরাধ করিলাম। কোন পাপে চিতোর যবন হস্তে এত অবমাননা সহ্য করিতেছে।”

 একদিন গভীর রাত্রে সমুদায় জগৎ যখন নিস্তব্ কোন সাড়া শব্দ নাই-কেবল অদুরে মাঝে মাঝে প্রহরীর ডাক শুনা যাইতেছে, রাণা তখন দুই হস্তে মস্তক ধরিয়া গভীর চিন্তায় নিমগ্ন। মধ্যে মধ্যে হৃদয় ভেদী দীর্ঘনিশ্বাস ফেলিয়া পাগলের ন্যায় উর্দ্ধদিকে চাহিতেছেন আবার তখনই দুইহস্তে মুখ লুকাইয়া ভাবিতেছেন। সম্মুখে সোনার প্রদীপ মিটুমিট করিয়া জলিতেছে। এমন সময় সহসা রাণা চক্ষু দুটী বিস্কারিত করিয়া কান পাতিয়া