পাতা:মিবার-গৌরব-কথা - হেমলতা দেবী.pdf/২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
হামিরের জননী কৃষকবালা।
১৭

পায়ের সহিত এমন কৌশল করিয়া জড়াইয়া দিল যে, অশ্ব ও সওয়ার একত্রে ধরাশায়ী হইল। রাণা ও তাঁহার বন্ধুগণ হাসিয়া উঠিলেন। রাণা বলিলেন, “কিহে রাজপুতবীর। একথা কতদিন মনে থাকিবে?” সেই বীরের ধূলিধসরিত মুখখানি লজ্জায় রক্তবর্ণ হইয়া উঠিল। রাণা গৃহে ফিরিলেন, কিন্তু সেই কৃষকবালাকে কিছুতেই ভুলিতে পারিলেন না। তৎপরদিন রাণা সেই কৃষকবালাকে দর্শন করিবার জন্য বনে গমন করিলেন এবং তাহার পিতার নিকট তাহাকে বিবাহ করিবার ইচ্ছা জানাইলেন। নির্ব্বোধ কৃষক কিছুতেই সম্মত হইল না। অগত্যা রাণা বিষণ্ণ মুখে গৃহে ফিরিলেন। কৃষক বাড়ীতে ফিরিয়া পত্নীকে সমুদায় কথা বলিল। সে স্বামীর নির্ব্বুদ্ধিতার কথা শুনিয়া শতবার ধিকার দিয়া বলিল, “হায়, হায়, কি করিলে। চিতোরের রাণা তোমার জামাতা হইবে, এ সৌভাগ্য সহ্য হইল না। যাও তাঁহার চরণ ধরিয়া কন্যাকে তাঁহার গৃহে দিয়া আইস।” অগত্যা কৃষক কন্যাকে লইয়া রাণার সহিত বিবাহ দিয়া আসিল। এই বীরবালাই হামিরের জননী।